প্রকাশিত: : জুন ২৫, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
একজন ব্যক্তি যেন ১০ বছরের বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করতে না পারেন—এই নীতিগত সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে বিএনপি। ২৪ জুন (মঙ্গলবার) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে দলের সিনিয়র নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাগুলোর সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। এসব আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পদের সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। কারও মত ছিল একজন ব্যক্তি যেন দুই ‘পূর্ণ মেয়াদ’ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, কেউ আবার মেয়াদ যাই হোক, সর্বোচ্চ দুবারই শপথ নিতে পারবেন—এই নিয়মের পক্ষে মত দেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ এ বিতর্কের প্রেক্ষিতে নতুন প্রস্তাব দেন—একজন ব্যক্তি যেন তাঁর জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
এই প্রস্তাবকে ভিত্তি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং সিদ্ধান্ত হয় যে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছরই প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। দলটি মনে করে, এটি গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে।
এ ছাড়া বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে বিএনপি। দলটি জানিয়েছে, তারা সাংবিধানিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি)’ গঠনের প্রস্তাবের পক্ষে নয়। বিএনপির ভাষ্যে, এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
নারীদের জন্য সংসদে ১০০ সংরক্ষিত আসনের প্রস্তাব এবং উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা ১০০ জন করার বিষয়েও ইতিমধ্যে একমত হয়েছে বিএনপি। একইভাবে, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে `জ্যেষ্ঠতম দুই জনের` মধ্যে যেকোনো একজনকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাবেও দলের সম্মতি রয়েছে।