প্রকাশিত: : মার্চ ১৬, ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। ছবি: রয়টার্স
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, কানাডা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না। শুক্রবার দেশটির ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
শপথ গ্রহণের পর অটোয়ার রিডো হলের বাইরে সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, "আমরা কখনই, কোনো আকার বা আকৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হব না। আমরা মৌলিকভাবে একটি স্বতন্ত্র দেশ।" এ সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই হুমকিকে প্রত্যাখ্যান করেন, যেখানে ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি বলেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সম্মান প্রত্যাশা করে। তাঁর সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার উপায় খুঁজবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
সদ্যসমাপ্ত লিবারেল পার্টির নির্বাচনে কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে দলের নতুন নেতা নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন ১১ হাজার ১৩৪ ভোট। লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্নির নাম ঘোষণা করেন। তবে, সংসদে তাঁর কোনো আসন নেই এবং আগে কখনো কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি কানাডার ইতিহাসে ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছেন।
কানাডার অর্থনীতি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চাপের মুখে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী মাসগুলোতে এ ইস্যুটি সবকিছুকে ছাপিয়ে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী মার্কিন বাণিজ্য শুল্ক কানাডার ভঙ্গুর অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেছিলেন, "অর্থনৈতিকভাবে বলতে গেলে কানাডার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়া ভালো হবে।" এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কার্নি বলেন, "এটা নিছক পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়।"
গত শুক্রবার সকালে প্রায় এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা জাস্টিন ট্রুডো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তাঁর জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।