রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

‘সিন্ধু নদীর একফোঁটাও পানি পাকিস্তানকে দেব না’: ভারতের জলশক্তি মন্ত্রী

টিএনসি ডেস্ক

প্রকাশিত: : এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম

শুক্রবার দিল্লিতে এক বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাতিল ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী মনোহর লালের কাছে চুক্তি স্থগিতের পর সিন্দু নদীর পানির ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন কর্মকর্তারা।

‘সিন্ধু নদীর একফোঁটাও পানি পাকিস্তানকে দেব না’: ভারতের জলশক্তি মন্ত্রী

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিন্ধু নদীর পানি ব্যবহারের পরিকল্পনা খতিয়ে দেখেছেন দেশটির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাতিল এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রী মনোহর লাল। সেখানে কর্মকর্তারা সিন্ধু অববাহিকার পানি কীভাবে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করা যেতে পারে, সে বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

বৈঠকের পর জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাতিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লেখেন, “সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে মোদি সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থে। আমরা নিশ্চিত করব, সিন্ধু নদীর একফোঁটাও পানি যেন পাকিস্তানে না যায়।”

ভারত সরকার বর্তমানে সিন্ধু নদীর পানি অন্যদিকে প্রবাহিত করার সম্ভাব্য আইনি ও কারিগরি দিকগুলো বিশ্লেষণ করছে। যদিও বৈঠকের পর কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর করাচিতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নয় বছর আলোচনার পর হওয়া এই চুক্তির আওতায় পূর্বাঞ্চলের তিনটি নদী - সুতলজ, বেয়াস ও রবি ভারতের জন্য নির্ধারিত হয়, আর পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি নদী - সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব থেকে পাকিস্তান পানি ব্যবহারের অধিকার পায়।

চুক্তি স্থগিতের ফলে এখন সিন্ধু নদীর পানি ব্যবহারে ভারতের জন্য নতুন বিকল্পের দরজা খুলেছে।

পহেলগাঁও হামলার পরদিন ভারতের ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস) সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর বৃহস্পতিবার ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে এ সিদ্ধান্ত জানায়।

এদিকে ভারতের এ পদক্ষেপের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির বিদ্যুৎমন্ত্রী সরদার আওয়াইস লেঘারি ভারতের সিদ্ধান্তকে ‍‍`তাড়াহুড়ো করে নেওয়া‍‍` এবং ‍‍`জলযুদ্ধের‍‍` শামিল বলে আখ্যায়িত করেন। স্থানীয় গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “ভারতের এই অবিবেচক সিদ্ধান্ত জলযুদ্ধের মতো। এটি কাপুরুষোচিত ও অবৈধ। প্রতিটি ফোঁটা পানি আমাদের অধিকার। আমরা আইনি, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিকভাবে এর পূর্ণ প্রতিরক্ষা করব।”

Link copied!