প্রকাশিত: : জুলাই ৯, ২০২৫, ০১:৩১ এএম
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
৮ জুলাই (মঙ্গলবার) রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ান জানায়, হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে নেতানিয়াহু সরাসরি ট্রাম্পের হাতে একটি চিঠি তুলে দেন, যেখানে তাকে শান্তির নোবেলের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নেতানিয়াহু বলেন, "গাজা যেন উন্মুক্ত একটি এলাকা হয়, যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে—এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা এমন দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি, যারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় সত্যিকার অর্থেই আগ্রহী এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়তে আগ্রহী।"
তিনি আরও বলেন, "আমি শুধু ইসরায়েলিদের পক্ষ থেকেই নয়, বরং বিশ্বব্যাপী ইহুদি জনগণের পক্ষ থেকেও ট্রাম্পকে কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা জানাতে চাই। আপনি এই স্বীকৃতির যোগ্য।"
ট্রাম্প জবাবে বলেন, "বিশেষ করে আপনার মতো একজন নেতা থেকে এমন মন্তব্য পাওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।"
এটি ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নোবেল মনোনয়ন। এর আগে, গত মাসে পাকিস্তান সরকারও ট্রাম্পকে শান্তির নোবেলের জন্য সুপারিশ করার ঘোষণা দেয়। তাছাড়া মার্কিন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা বাডি কার্টার নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটিকে চিঠি লিখে ট্রাম্পকে মনোনীত করেন।
কার্টারের মতে, ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত নিরসনে, এবং ইরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে “অসাধারণ ও ঐতিহাসিক” ভূমিকা পালন করেছেন। চিঠিতে বলা হয়, "যেখানে অনেকেই সম্ভাবনা দেখেননি, সেখানে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে সহায়তা করেছেন এবং ইরানের পরমাণু উচ্চাকাঙ্ক্ষা দমনে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন।"