রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধ প্রকট, ‍‍`আমেরিকা পার্টি‍‍` নামের রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা মাস্কের

টিএনসি ডেস্ক

প্রকাশিত: : জুলাই ৬, ২০২৫, ১২:২৯ পিএম

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধ প্রকট, ‍‍`আমেরিকা পার্টি‍‍` নামের রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা মাস্কের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন নতুন একটি রাজনৈতিক দলের - নাম দিয়েছেন ‘আমেরিকা পার্টি’। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চলমান বিরোধের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সময় ৫ জুলাই, শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মাস্ক লিখেছেন, “আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আজ আমেরিকা পার্টির জন্ম হলো।”

তার এই ঘোষণার পর মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। তবে ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

দল গঠনের আগে এক্সে একটি জরিপ চালান মাস্ক, যেখানে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ১২ লাখ মানুষ। মাস্ক দাবি করেছেন, এদের দুই - তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল চায়।

সম্প্রতি ট্রাম্প স্বাক্ষরিত বিতর্কিত করছাড় ও ব্যয়বৃদ্ধির বিল - যা ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত - নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন মাস্ক। তিনি বলেন, “এই বিল যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে দেবে।”

একসময় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মাস্ক তার প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন এবং প্রচারণাতেও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। কিন্তু বাজেট ইস্যুতে মতবিরোধের পর সেই সম্পর্কের টানাপোড়েন এখন আরও স্পষ্ট।

মাস্ক আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি ট্রাম্পপন্থী কংগ্রেস সদস্যদের বিরুদ্ধে লড়তে চান এবং প্রয়োজনে নির্বাচনে হারানোর জন্য অর্থ ব্যয় করতেও প্রস্তুত।

উল্টো দিক থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে ভর্তুকি দেয়, তা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

এ দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে টেসলার শেয়ারে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪৮৮ ডলার, যা এখন নেমে এসেছে ৩১৫ ডলারে।

বিশ্লেষকদের মতে, মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’ এখনই বড় প্রভাব ফেলবে কিনা তা বলা কঠিন। তবে রিপাবলিকান শিবিরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, ২০২৬ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে এই দল তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ইলন মাস্ক যত বড় উদ্যোক্তা ও ধনকুবেরই হোন না কেন, যুক্তরাষ্ট্রের দুই শতাব্দীর বেশি সময়ের দুই দলীয় শাসন কাঠামো - রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য ভাঙা সহজ হবে না।

Link copied!