প্রকাশিত: : জুলাই ৩, ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
বর্তমানে বিশ্বের ৮০০ কোটি জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশ বসবাস করে শহর এলাকায়, যা ২০২৫ সালে ৭০ শতাংশে পৌঁছবে। উন্নত জীবন, কর্মসংস্থানের সুযোগসহ নানা কারণে নগরে বাড়ছে জনসংখ্যা। এমনই এক তথ্য দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ।
তাপপ্রবাহ, বায়ুদূষণ, অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে শহরে বাড়ছে দুর্যোগের ঝুঁকি। জনসংখ্যার অতিরিক্ত চাপ, পরিবহন ও কারখানার আধিক্যতায় বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও। দেশের বড় বড় শহরের মতো ঢাকার জনসংখ্যা বেড়ে চলছে যা বন্যা, জলাবদ্ধতার মতো বড় ধরনের দুর্যোগের ঝুঁকি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে জলবায়ুর পরিবর্তন ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস এবং পরিবেশের সংকট মোকাবেলায় অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক ‘নগর জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন কেন্দ্রের’ উদ্বোধন করেছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্সের গবেষক আশরাফ দেওয়ান। উপস্থাপনায় তিনি দাবি করেন, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ শহরে বাস করে। ২০৫০ সালের মধ্যে এটি দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৯৫০ সালে শহরে বসবাসকারীর সংখ্যা ছিল মোট সংখ্যার ৩০ শতাংশ। ২০০০ সালে ৪৭ শতাংশ, বর্তমানে (২০২৫ সালে) বিশ্বের শহরাঞ্চলে বসবাস করছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। ২০৫০ সালে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৭০ শতাংশে। নগরায়ণের ফলে শহরে ৮০ শতাংশ গ্রিনহাউজ গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে আর ৭৫ শতাংশ এনার্জি ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে জলবায়ুতে। শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে তাপপ্রবাহ, বায়ুদূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও বন্যার মতো দুর্যোগের সৃষ্টি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং নগরায়ণের ফলে বয়স্ক এবং নিম্ন আর্থসামাজিক গোষ্ঠীর ঝুঁকি বাড়ছে, যার ফলে শহরগুলোয় মৃত্যুর হার বেশি।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ অনুসারে বর্তমানে ঢাকার জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা শীর্ষে ও বিশ্বের সপ্তম জনবহুল শহর। অধিক জনসংখ্যা, বায়ুদূষণ, তাপপ্রবাহ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে ঢাকার পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জলবদ্ধতা সৃষ্টি ও বন্যার মতো দুর্যোগের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।