প্রকাশিত: : জুন ২৯, ২০২৫, ০১:৪২ পিএম
বিশ্ববিখ্যাত বিনিয়োগকারী ও ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট এবার এককভাবে বার্ষিক অনুদানের সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছেন। বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ইনকর্পোরেশনের প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার তিনি দান করেছেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনসহ পরিবারের চারটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে।
২০০৬ সালে নিয়মিত অনুদান কার্যক্রম শুরু করার পর এটিই তার সবচেয়ে বড় এককালীন দান। সর্বশেষ এই দানের মাধ্যমে তার মোট অনুদানের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলার।
বার্কশায়ারের ১ কোটি ২৩ লাখ ৬ হাজার ক্লাস বি শেয়ারের মধ্যে গেটস ফাউন্ডেশন পেয়েছে ৯৪ লাখ ৩০ হাজারটি, সুসান থম্পসন বাফেট ফাউন্ডেশন পেয়েছে প্রায় ৯ লাখ ৪৩ হাজারটি। তিন সন্তানের নামে পরিচালিত হাওয়ার্ড জি. বাফেট ফাউন্ডেশন, শেরউড ফাউন্ডেশন ও নোভো ফাউন্ডেশন পেয়েছে সমানভাবে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৬টি করে শেয়ার।
অনুদানের পরও বাফেট বার্কশায়ারের ১৩.৮% শেয়ারের মালিক রয়ে গেছেন। অনুদানের আগে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫২ বিলিয়ন ডলার, যা তাকে বিশ্বের পঞ্চম ধনী ব্যক্তি করেছিল। অনুদানের পর তার অবস্থান একধাপ নিচে নেমে ষষ্ঠ স্থানে এসেছে।
৯৪ বছর বয়সী বাফেট ২০২৩ সালে তার উইলে পরিবর্তন এনে ঘোষণা দেন, মৃত্যুর পর তার মোট সম্পদের ৯৯.৫ শতাংশ একটি দাতব্য ট্রাস্টের অধীনে দান করা হবে। তার তিন সন্তান-হাওয়ার্ড, সুজি ও পিটার-এই ট্রাস্ট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন এবং তারা পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে সম্পদ বিতরণ সম্পন্ন করবেন।
বাফেট জানিয়েছেন, তিনি এখনো কোনো বার্কশায়ার শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করছেন না এবং গেটস ফাউন্ডেশনে অনুদান মৃত্যুর পর আর চালু থাকবে না।
১৯৬৫ সাল থেকে বার্কশায়ারের নেতৃত্বে থাকা বাফেট বর্তমানে প্রায় ১.০৫ ট্রিলিয়ন ডলারের কংগ্লোমারেট পরিচালনা করছেন। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে প্রায় ২০০টি ব্যবসা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গেইকো, বিএনএসএফ রেলওয়ে, অ্যাপল ও আমেরিকান এক্সপ্রেসের মতো বড় কোম্পানির শেয়ার।
বাফেটের অনুদানপ্রাপ্ত ফাউন্ডেশনগুলো বিভিন্ন খাতে কাজ করে-প্রজনন স্বাস্থ্য, শিশু শিক্ষা, মানবপাচার ও ক্ষুধা নিরসন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে।
