প্রকাশিত: : জুন ২৫, ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে `ঐতিহাসিক বিজয়` অর্জনের দাবি করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক টেলিভিশন ভাষণে জাতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইসরায়েল এই যুদ্ধের মাধ্যমে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা করেছে। নেতানিয়াহুর দাবি, এই অভিযানে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটানো সম্ভব হয়েছে এবং ইরানকে কখনও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সুযোগ দেওয়া হবে না।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইরান যদি ভবিষ্যতে তার পারমাণবিক প্রকল্প পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করে, তাহলে ইসরায়েল একই কঠোর অবস্থানে থেকে তা প্রতিহত করবে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির জানিয়েছেন, এই অভিযানে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা বহু বছর পিছিয়ে পড়েছে এবং এখন ইরানবিরোধী অভিযান এক নতুন পর্বে প্রবেশ করছে।
অন্যদিকে, ইরান জানিয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের অধিকার তারা কখনও ছাড়বে না।
নেতানিয়াহু জানান, `অপারেশন রাইজিং লায়ন` নামে এই অভিযানে শুধু সামরিক নয়, ইরানের সংবাদমাধ্যম, কারাগার এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কাঠামোর ওপরও হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় দেশটির একাধিক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
রবিবার আকস্মিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘর্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অভিযানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তেহরান সম্ভবত তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে, যা ভবিষ্যতের নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে থেকে যাচ্ছে।