মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫

টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্ণ করলো বাংলাদেশ

টিএনসি ডেস্ক

প্রকাশিত: : জুন ২৬, ২০২৫, ০১:০১ পিএম

টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্ণ করলো বাংলাদেশ

ছবি: AFP/ESPN

বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন। ২০০০ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের মাধ্যমে ক্রিকেটের অভিজাত পরিমণ্ডলে পা রাখে বাংলাদেশ। সেই ঐতিহাসিক অর্জনের রজতজয়ন্তী এবার উদযাপিত হলো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই উৎসব শুরু হয় সকালে, চলে বিকেল পর্যন্ত। আয়োজনে ছিল শিশু-কিশোরদের সিক্স-এ-সাইড ক্রিকেট, গতিময় পেসার খোঁজার প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হিট দ্য স্টাম্প, কমেন্ট্রি সেশনসহ নানা কর্মসূচি।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিবি পরিচালক মনজুর আলম মঞ্জু, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শারমিন জাহান, বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন, নারী দলের ক্রিকেটার রোমেনা আহমেদ প্রমুখ।

সর্বাধিক আকর্ষণীয় ছিল অনূর্ধ্ব-১২ শিশুদের সিক্স-এ-সাইড ক্রিকেট। ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে ১২টি দলের হয়ে অংশ নেয় ৯৬ জন ক্ষুদে ক্রিকেটার। দলগুলোর নামকরণ করা হয় দেশের নদীগুলোর নামে। বালক বিভাগে হালদা ও মেঘনা এবং বালিকা বিভাগে কর্ণফুলী ও যমুনা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়।

ক্রিকেটারদের সরাসরি দেখার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিল শিশুরা। মাঠে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার, ইয়াসির আলি রাব্বি ও পারভেজ হোসেন ইমন।

পেসার হান্ট প্রতিযোগিতায় ১৩৪ কিমি গতিতে বল করে প্রথম হয়েছেন নাঈম ও হাবিব। এছাড়া হিট দ্য স্টাম্প ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায়ও পুরস্কৃত হয় অংশগ্রহণকারীরা। বিভিন্ন শ্রেণি ভাগে মোট ৯ জন বিজয়ী হয় চিত্রাঙ্কনে।

অভিভাবকদের জন্য ছিল একটি বিশেষ সেশন, যেখানে ক্রিকেটার তৈরিতে তাদের ভূমিকাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন সাবেক অধিনায়ক নান্নু ও সুমন।

বিকেলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক মনজুর আলম মঞ্জু। সঙ্গে ছিলেন বিসিবির কর্মকর্তারা ও সাবেক অধিনায়কেরা।

চট্টগ্রামে আয়োজনটি পরিণত হয় একটি আনন্দঘন ক্রিকেট উৎসবে—যেখানে ক্রিকেট ছিল কেন্দ্রবিন্দু, আর অংশগ্রহণ ছিল সার্বজনীন।

Link copied!