শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫

১৭ বছরের প্রতীক্ষার পর ভিরাটের হাতে উঠলো আইপিএল-এর শিরোপা

টিএনসি ডেস্ক

প্রকাশিত: : জুন ৪, ২০২৫, ১২:৫৩ এএম

ফাইনাল জয়ের দিনে ব্যাট হাতে আরসিবির জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল

১৭ বছরের প্রতীক্ষার পর ভিরাটের হাতে উঠলো আইপিএল-এর শিরোপা

দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষা আর তিন ফাইনাল হারের হতাশা শেষে  কাঙ্ক্ষিত আইপিএল জয়ের স্বপ্ন ছুঁয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। আইপিএলে এর ১৮তম আসরের রোমাঞ্চকর ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে মাত্র ৬ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএল ট্রফি জিতছে নিল বিরাট কোহলির দল।

সোমবার আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে আরসিবি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান সংগ্রহ করে দলটি। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

জবাবে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পাঞ্জাব কিংসও লড়াই করে, তবে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ১৮৪ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস।

১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পাঞ্জাব শুরুটা বেশ ভালো করে। ওপেনার প্রবসিমরান সিং ও প্রিয়ন্স আর্য গড়েন ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে দ্রুতই ছন্দপতন ঘটে। ২২ বলে ২৬ রান করে ফেরেন প্রবসিমরান, আর মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।

জশ ইংলিস ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন, ২৩ বলে ৩৯ রান করে আউট হন। নেহাল ওয়াধেরাও রান করতে পারেননি, ১৮ বলে করেন মাত্র ১৫। শেষদিকে শশাঙ্ক সিং একাই লড়াই করেন। ৩০ বলে ৬১ রানের ইনিংসে মারেন ৬টি ছক্কা ও ৩টি চার, কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি।

বেঙ্গালুরুর হয়ে বোলিংয়ে সবচেয়ে বড় পার্থক্য গড়েন ক্রুনাল পান্ডিয়া। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট তুলে নেন। ২ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমারও। চাপের মুখে শেষ ওভারে কেবল ৬ রান দরকার থাকলেও পাঞ্জাব সেটা তুলতে ব্যর্থ হয়, এবং হেরে যায় ৬ রানে।

আগে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরুর ইনিংসে শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ১৮ রানে আউট হয়ে যান ওপেনার ফিল সল্ট। এরপর কোহলি ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়লেও আগারওয়াল ২৪ রান করে বিদায় নেন। রানের গতি ছিল ধীর, আর চাপের মুখে অধিনায়ক রজত পাতিদারও ফিরে যান ২৬ রান করে।

বিরাট কোহলির ব্যাটও ফাইনালে ছিল শান্ত স্বরে। ৩৫ বলে ৪৩ রান করে তিনিও ফিরে যান আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে। শেষদিকে কিছুটা ঝড় তোলেন জিতেশ শর্মা (১০ বলে ২৪) ও লিয়াম লিভিংস্টোন (১৫ বলে ২৫)। শেষ ৩ ওভারে ২২ রান তুলে স্কোরবোর্ডে পৌঁছে যায় ১৯০ রানে।

পাঞ্জাবের হয়ে আর্শদীপ সিং ও কাইল জেমিসন ৩টি করে উইকেট নেন।

Link copied!