প্রকাশিত: : মার্চ ১৯, ২০২৫, ০২:১০ এএম
সোনাদিয়া দ্বীপ নিকটবর্তী সমুদ্রে রয়েছে ইরাবতি ডলফিনের বিচরণ। পাশাপাশি এই দ্বীপের সমুদ্র সৈকতেও অনেক প্রাণ-বৈচিত্র্য রয়েছে।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে সোনাদিয়া দ্বীপে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা)।
গতকাল (১৮ মার্চ) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন বেজা`র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
বিগত সরকাররে সময়কালীন সোনাদিয়া দ্বীপের প্রাণ-বৈচিত্র্যকে বিনষ্ট করে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়। যদিও প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের অনুরোধেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
বাংলাদেশের সোনাদিয়া দ্বীপ নিকটবর্তী সমুদ্রে রয়েছে ইরাবতি ডলফিনের বিচরণ। পাশাপাশি এই দ্বীপের সৈকতেও রয়েছে প্রাণ-বৈচিত্র্য।
শুধু সোনাদিয়া নয়, মীরসরাইয়েও ইকোনমিক জোনের জন্য বনভূমি নষ্ট করা হবে না বলেও জানান আশিক চৌধুরী।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী তারা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, `গতকাল আমরা (বেজা) সোনাদিয়া দ্বীপকে পরিবেশ রক্ষার্থে বন অধিদফতরকে ফিরিয়ে দিয়েছি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন আর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে ঠিকই। এজন্যই ইকোনমিক জোনগুলো করা। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতি করে নয়। শোনা যায় ২০১৪ সালে সোনাদিয়া দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে একসাথে গোলাপী ডলফিন এবং ইরাবতী ডলফিন সাঁতার কাটতো। অথচ তার ১০ বছর পর এগুলোর কোনটিই দেখা যায় না। আমি আগেও বলেছি, দেশে বিশাল বিশাল ১০০টি ইকোনমিক জোনের দরকার নাই। ঠিকভাবে জাস্ট পাঁচটা পরিবেশবান্ধব বা গ্রিন ইকোনমিক জোন করলেই দেশের চেহারা পাল্টে যাবে।
একই পোস্টে তিনি আরোও জানান "মীরসরাই ন্যাশনাল ইকোনমিক জোনের পরিকল্পনায় সীতাকুণ্ড বনাঞ্চলও অন্তর্ভূক্ত ছিলো। আমরা প্ল্যান থেকে ওটাকেও বাদ দিয়ে দিচ্ছি। অলরেডি ১৬ হাজার একর জমি আছে মীরসরাইতে। এতটুকু শিল্পায়ন হলেই আড়াই লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়াও কয়েক হাজার একর আছে মাতারবাড়িতে। তাই বন কেটে ফ্যাক্টরি করার আমি প্রয়োজন দেখি না। মীরসরাইতে আমরা যেই জমি অলরেডী অধিগ্রহণ করেছি সেখানে কিছু অংশে আগামী ১০ বছরে শিল্পায়নের প্ল্যান নাই। এই অব্যবহৃত জমিতে আমরা পিপিপি মডেলে ৩০০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছি। "