বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার

টিএনসি ডেস্ক

প্রকাশিত: : নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০১:২৮ পিএম

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত গুরুতর রোগে আক্রান্ত বা শারীরিকভাবে অক্ষম কাউকে হজে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। প্রত্যেক হজযাত্রীর স্বাস্থ্যঝুঁকিমুক্ত সনদ ‘নুসুক মাসা’ প্ল্যাটফর্মে আপলোড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার

কোনো দেশের একজন হজযাত্রীকে তালিকাভুক্ত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পাওয়া গেলে সে দেশের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এ স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে হজযাত্রীরা হজ পালনের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত এরূপ প্রত্যয়ন দিতে হবে।

এ বিষয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে হজযাত্রী পাঠানো দেশগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে একজন হজযাত্রী যেসব শারীরিক পরিস্থিতিতে হজের অনুমতি পাবেন না, তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

কোনো হজযাত্রীর শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো অকার্যকর হলে তিনি হজের অনুমতি পাবেন না। এর মধ্যে রয়েছে—ডায়ালাইসিস চলছে এমন কিডনির রোগ, গুরুতর হৃদ্‌রোগ, সব সময় অক্সিজেন প্রয়োজন হয়—ফুসফুসের এমন রোগ এবং ভয়াবহ লিভার সিরোসিস।

এ ছাড়া গুরুতর স্নায়বিক কিংবা মানসিক রোগ, স্মৃতিভ্রষ্টতাসহ অতি বয়স্ক ব্যক্তি, শেষ প্রান্তিকের গর্ভাবস্থা ও যেকোনো স্তরে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায়ও হজের অনুমতি মিলবে না।

সংক্রামক রোগ, যেমন যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর এবং কেমোথেরাপি কিংবা অন্য কোনো নিবিড় ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করছেন—এমন ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তিকেও হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার।

হজযাত্রী পাঠানো কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকিমুক্ত প্রত্যয়ন করে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে বৈধ স্বাস্থ্যসনদ ইস্যু করতে অনুরোধ করেছে সৌদি আরব। নুসুক মাসা হলো সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহবিষয়ক একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম।

আগমন ও বহির্গমন প্রান্তে মনিটরিংয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইস্যু করা স্বাস্থ্য সনদের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করবে মনিটরিং দল।

এ বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মসৃণ ও নিরাপদ হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দেশ থেকে হজযাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।

উল্লেখ্য, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেন হজের নিবন্ধন না করেন, সে জন্য নিবন্ধন শুরুর আগে থেকেই ধর্ম মন্ত্রণালয় অনুরোধ জানিয়ে আসছে।

হজ এজেন্সিগুলোকেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে সৌদি সরকারের অনুরোধে সে দেশে অনুষ্ঠিত একটি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশি দুজন চিকিৎসক।

Link copied!