প্রকাশিত: : জুন ২২, ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় টানা ৩৭ ঘণ্টার উড্ডয়ন শেষে হামলা চালিয়েছে। ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্র ছিল এই অভিযানের প্রধান লক্ষ্য। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সামরিকভাবে যুক্ত হলো।
মার্কিন মিসৌরি অঙ্গরাজ্য থেকে উড্ডয়ন করা ছয়টি বি-২ বোমারু বিমান প্রায় ৩৭ ঘণ্টা একটানা আকাশে ছিল এবং একাধিকবার মাঝ আকাশেই জ্বালানি নিয়েছে বলে জানায় মার্কিন কর্মকর্তারা। রোববার ভোরে চালানো এই হামলায় তারা প্রথমবারের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের জিবিইউ-৫৭ ‘বাংকারবিধ্বংসী’ বোমার ব্যবহার করে।
একজন উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় ১২টি জিবিইউ-৫৭ বোমা ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সাবমেরিন থেকে ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান স্থাপনায় ছোড়া হয়েছে অন্তত ৩০টি টিএলএএম (Tomahawk Land Attack Missile) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।
হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং সেই হুমকি থামানো, যা তারা গোটা বিশ্বের জন্য তৈরি করছে।” তিনি আরও বলেন, “যদি ইরান কূটনৈতিক পথে না ফেরে, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তেহরান হামলার ঘটনা স্বীকার করেছে, তবে দাবি করেছে—যুক্তরাষ্ট্র যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, সেগুলো আগেই খালি করা হয়েছিল। ফলে সেগুলোতে এমন কিছু ছিল না যা জনগণের জন্য বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।