প্রকাশিত: : জুন ১৯, ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছেন, ইসরায়েল-ইরান সংকটে মধ্যস্থতার আগে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের ‘শেষ পরিণতি’ খুঁজে বের করার দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত।
এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি তাঁকে বলেছি, একটা উপকার করো, আগে নিজের সমস্যাটার মধ্যস্থতা করো। ভ্লাদিমির, আগে রাশিয়ার ব্যাপারটা মিটাও। এটা (ইরান-ইসরায়েল সংঘাত) পরে দেখা যাবে।”
ট্রাম্পের এ মন্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন পুতিন নিজে ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি জানান, মস্কো একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করতে চায়—যাতে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে এবং একই সঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগও সমাধান হয়।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় পুতিন বলেন, “এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ইস্যু। তবে আমার মতে, এর একটি সমাধান অবশ্যই সম্ভব।”
তবে যখন পুতিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যদি ইসরায়েল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যা করে, তখন রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কী হবে—সে প্রশ্নে জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান পুতিন। তিনি বলেন, “আমি এমন সম্ভাবনার আলোচনাও করতে চাই না।”
উল্লেখ্য, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি ইতোমধ্যে মার্কিন মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকলে ও যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে জড়ালে তা হবে “চরম ক্ষতির কারণ।”
পুতিন আরও বলেন, রাশিয়ার প্রস্তাব তিন পক্ষ—ইরান, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে। “আমরা কাউকে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না, শুধু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানাচ্ছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে, বিশেষ করে ইরান ও ইসরায়েলকে।”
মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে রাশিয়া। একদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে, অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এই দ্বিপাক্ষিক নীতিই মস্কোকে সংকট নিরসনে মধ্যস্থতাকারী হওয়ার সুযোগ এ