প্রকাশিত: : মে ১৫, ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
গত সপ্তাহে ভারত কয়েক হাজার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট টার্গেট করে, যার মধ্যে অনেক সাংবাদিক ও প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমও ছিল।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাধ্যমের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ভারতে ব্লক করেছে দেশটির সরকার। ছবিঃ কাশ্মীর ডিজিটাল
ভারতে চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার, যার মধ্যে রয়েছে সিনহুয়া ও গ্লোবাল টাইমস-এর X (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই চীনা মিডিয়াগুলো পাকিস্তানের পক্ষে ভুল তথ্য এবং প্রচারণা ছড়াচ্ছিল। একইসঙ্গে তুরস্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম TRT World-এর অ্যাকাউন্টও ব্লক করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে গ্লোবাল টাইমস-এর অ্যাকাউন্টটি আইনি অনুরোধের ভিত্তিতে আবার চালু হয়।
এ পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সম্প্রতি একটি সংঘর্ষে উভয় পক্ষই মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করে, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক ও অপ্রমাণিত তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। চীনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এমনকি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে বলা হয়, পাকিস্তান একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে—যা নিয়ে ভারত চীনে নিযুক্ত দূতাবাসের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে হাজারের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নজরদারির আওতায় এনেছে, যার মধ্যে সাংবাদিক ও কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও রয়েছে। এতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন।
এছাড়াও, চীনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ—ভারতের অরুণাচল প্রদেশের কিছু এলাকাকে নতুন চীনা নাম দিয়ে দাবি করা—ভারতকে ক্ষুব্ধ করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নামকরণকে “বাস্তবতা বিকৃত করার অপচেষ্টা” বলে আখ্যা দিয়েছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, “অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
চীন যদিও দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানায়, বাস্তবে প্রায়শই পাকিস্তানকে সমর্থন করতে দেখা যায়। বিশেষ করে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের দিক দিয়ে চীন পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র।
এই ঘটনাগুলো চীন-ভারত সম্পর্কে দীর্ঘদিনের অবিশ্বাস এবং সীমান্ত বিরোধের প্রেক্ষাপটে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে।