সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

চামড়া খাতে এক যুগে রাজস্ব কমেছে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার

টিএনসি ডেস্ক

প্রকাশিত: : এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ০২:১৩ পিএম

চামড়া খাতে এক যুগে রাজস্ব কমেছে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার

বাংলাদেশের চামড়া খাতে রাজস্ব আয় এক যুগে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার কমেছে। ২০১২ সালে খাতটি থেকে আয় হয়েছিল ১১৩ কোটি ডলার, যা ২০২৪ সালে নেমে দাঁড়িয়েছে ৯৭ কোটি ডলারে। বিশ্ববাজারের চাহিদার তুলনায় বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। উন্নয়নশীল অন্যান্য শিল্পের অগ্রগতির বিপরীতে চামড়া খাত দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সংকট মোকাবিলা করছে।

চামড়া শিল্পের এই সংকট উত্তরণে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকার অদূরে সাভারের হরিণধরায় চামড়াশিল্প নগরে ‍‍`ওয়ার্ল্ড লেদার ডে ২০২৫‍‍` উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন। ‍‍`বিয়ন্ড দ্য সারফেস: ইটস আওয়ার টাইম টু বি ভিজিবল, ভোকাল অ্যান্ড রেসপনসিবল‍‍` প্রতিপাদ্যে বৈঠকের আয়োজন করে ফুটওয়্যার এক্সচেঞ্জ।

ডিটিআইইডব্লিউটিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম শাহনেওয়াজের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাপেক্স ট্যানারির প্রধান উৎপাদন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মাহমুদ খান ও মার্সন ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরিকুল ইসলাম খান।

বৈঠকে বক্তারা জানান, বাংলাদেশে এখনো ২০-৩০ বছর আগের মানের চামড়া উৎপাদন হচ্ছে; কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। বিশ্বে পানিরোধী চামড়ার চাহিদা বাড়লেও বাংলাদেশে এর উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা যথেষ্ট পিছিয়ে আছে। চামড়া বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও দেশজুড়ে অনিয়ম চলছে, যার ফলে মালিকেরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

চামড়া শিল্পের নীতিগত সহায়তার অভাবও সংকটের একটি বড় কারণ বলে মত দেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, চামড়া শিল্পে কেমিক্যাল আমদানিসহ বন্ড সুবিধার ক্ষেত্রে বৈষম্য এখনো রয়ে গেছে। শিল্প সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলোর ক্ষমতা বাড়ানো এবং মালিকদের অংশীদারত্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেন তারা।

বৈঠকে জানানো হয়, শিল্পনগরে সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি) উন্নয়নে কিছু সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ট্যানারি মালিকরা যদি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে চলেন, তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ৮০ শতাংশ সমস্যার সমাধান সম্ভব। ইতিমধ্যে ছয়টি ট্যানারি নিজস্ব অর্থায়নে ইটিপি স্থাপনের অনুমোদন পেয়েছে। আরও ১০টি ট্যানারি এভাবে ইটিপি করলে, সিইটিপি সমস্যা অনেকটাই দূর হবে বলে জানান ডিটিআইইডব্লিউটিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

Link copied!