প্রকাশিত: : এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
২০২৩ সালে বাংলাদেশে কর ফাঁকির কারণে প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ সোমবার সংস্থাটির কার্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের উত্তরণে করপোরেট আয়কর সংস্কার’ বিষয়ক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
গবেষণা অনুযায়ী, এই বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকির অর্ধেকেরও বেশি ঘটেছে করপোরেট খাতে। ২০২৩ সালে শুধু করপোরেট কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। সিপিডি জানায়, ২০১১ সালের পর থেকে কর ফাঁকির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। ২০১২ সালে তা ছিল ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালে বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকায়।
কর ফাঁকির জন্য উচ্চ করহার, প্রশাসনিক দুর্বলতা, জটিল আইন এবং কর ব্যবস্থায় দুর্নীতিকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সিপিডি। সংস্থাটি মনে করে, কর ফাঁকির এই প্রবণতা সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করছে এবং দেশে করভিত্তি প্রসারে বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের পর বহুজাতিক বিনিয়োগ বাড়বে। কিন্তু কর ফাঁকির সুযোগ থাকলে সেই বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব দেবে না। তাই এলডিসি উত্তরণের পর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা, ডিজিটাল কর ব্যবস্থাপনা এবং কর নীতিতে সংস্কারের সুপারিশ করেছে সিপিডি।