বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সরিষাখেতে যায় বলে বিষ দিয়ে ১০৮টি কবুতর হত্যা

টিএনসি ডেস্ক

প্রকাশিত: : ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম

সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বিষ প্রয়োগে ১০৮টি কবুতর হত্যার অভিযোগে এক কৃষকসহ অজ্ঞাত ২–৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

সরিষাখেতে যায় বলে বিষ দিয়ে ১০৮টি কবুতর হত্যা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় একটি ফসলের খেতে যায় বলে বিষ দিয়ে ১০৮টি কবুতর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কবুতরগুলোর মালিক। পরে গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার বিকেলে উপজেলার পদ্মশাখরা ফুটবল মাঠ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। কবুতরগুলো আনুমানিক বাজার মূল্যে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মালিক।
থানা-পুলিশ জানায়, কবুতরগুলোর মালিক রায়হান কবির ও অভিযুক্ত হিসেবে ইসমাইল গাজী (৩২) একই গ্রামের বাসিন্দা। ইসমাইল ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন কবুতর হত্যায় জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
রায়হান কবির জানান, পদ্মশাখরার ফুটবল মাঠ সংলগ্ন এলাকায় বসতবাড়িতে তিনশতাধিক কবুতরের একটি খামার রয়েছে। কিছু কবুতর মাঝেমধ্যে স্থানীয় কৃষক ইসমাইল গাজীর সরিষার খেতে চলে যেত।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ইসমাইল গাজী হিংসার বশবর্তী হয়ে সোমবার বিকালে কবুতরগুলোকে বিষ দিয়ে হত্যা করে। বিষয়টি টের পেয়ে মো. আবুল হোসেন মানার মাধ্যমে বিষয়টি রায়হানকে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দেখেন, তাঁর খামারের ১০৮টি কবুতর মারা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ইসমাইল গাজীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, তাঁর খেতে কবুতর যায় বলে সরিষায় বিষ মিশিয়ে দেন তিনি। এতেই কবুতরগুলো মারা যায়। এই ঘটনায় এলাকার কিছু লোক ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেলে ও থানায় অভিযোগের পর তিনি বাড়ি থেকে সড়ে যান। স্থানীয় ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সাহেব আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেন। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে বাড়িতে না পেয়ে স্থানীয়ভাবে তাঁকেই ইসমাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন বলে জানান ওই ইউপি সদস্য।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Link copied!