সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

এপ্রিলে একাধিক তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস

টিএনসি ডেস্ক

প্রকাশিত: : এপ্রিল ১, ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম

এপ্রিলে একাধিক তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস

এপ্রিল মাস দেশে গড় তাপমাত্রার দিক থেকে সবচেয়ে উষ্ণ। আজ মাসের প্রথম দিনেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে, যা আগামী তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ মাসে এক থেকে দুটি তাপপ্রবাহ এবং একটি নিম্নচাপের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

এপ্রিলের স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রা ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মে মাসের ৩২.৯ ডিগ্রির তুলনায় সামান্য বেশি। তবে এ বছর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মাসজুড়ে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

মৃদু তাপপ্রবাহ হয় যখন তাপমাত্রা ৩৬–৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, মাঝারি তাপপ্রবাহ ৩৮–৩৯.৯ ডিগ্রি, তীব্র তাপপ্রবাহ ৪০–৪১.৯ ডিগ্রি এবং ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালেই তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হয়।

ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। এ মাসে পাঁচ থেকে সাত দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা-মাঝারি এবং এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। পাশাপাশি, বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, মাসের মাঝামাঝিতে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। মাসের শেষের দিকে তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে এবং স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হতে পারে।

গত বছর ছিল গত ৭৬ বছরের মধ্যে উষ্ণতম, যেখানে এপ্রিল-মে মাসে টানা ৩৫ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে গিয়েছিল। সারা বিশ্বেই সেটি ছিল রেকর্ড উষ্ণ বছর।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, গত বছর উচ্চ তাপমাত্রার কারণে কালবৈশাখীর সংখ্যা কমে গিয়েছিল। সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে যথাক্রমে ৯ ও ১৩ দিন কালবৈশাখী হয়, কিন্তু গত বছর এপ্রিল ও মে মাসে মাত্র দুই ও চারটি কালবৈশাখী হয়েছিল।

তবে চলতি বছর মেঘ সৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বেশি থাকায় কালবৈশাখীর সংখ্যা বাড়তে পারে। ফলে গত বছরের মতো একটানা দীর্ঘ তাপপ্রবাহ নাও থাকতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Link copied!