প্রকাশিত: : এপ্রিল ২২, ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ‘প্লিজ’ কিংবা ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলা যতই সৌজন্যমূলক হোক, এর পেছনে রয়েছে কোটি কোটি টাকার খরচ। ওপেনএআই সিইও স্যাম অল্টম্যান জানিয়েছেন, এমন ভদ্রতা চ্যাটজিপিটির অপারেশনাল খরচে কয়েক মিলিয়ন ডলার যোগ করতে পারে।
সম্প্রতি এক্স-এ (পুরনো টুইটার) এক ব্যবহারকারী অল্টম্যানকে জিজ্ঞেস করেন, ভদ্রভাবে কথা বলায় কেমন বিদ্যুৎ খরচ হয়। জবাবে তিনি জানান, ‘এর পেছনে কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ হয়ে গেছে!’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভদ্রভাবে প্রশ্ন করলে এআইও ইতিবাচক সাড়া দেয়। তবে শুধু সৌজন্য নয়, আসল খরচটা আসে রিয়েল টাইমে উত্তর দিতে ব্যবহৃত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং সিস্টেম ও ডেটা সেন্টারের বিদ্যুৎ থেকে। গোল্ডম্যান স্যাক্সের তথ্য অনুযায়ী, চ্যাটজিপিটি-৪–এর একটি উত্তর গুগলের একটি সাধারণ সার্চের চেয়ে ১০ গুণ বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ মিলিয়ন মানুষ বছরে ৫২টি প্রশ্ন করলে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগবে, তা দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসির সব বাসাবাড়ি ২০ দিন চলবে।
শুধু বিদ্যুৎ নয়, পানি খরচও বাড়াচ্ছে এআই। সার্ভার ঠাণ্ডা রাখতে পানি ব্যবহৃত হয়। ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা জানায়, জিপিটি-৪ দিয়ে ১০০ শব্দের একটি উত্তর তৈরিতে তিন বোতল পানির সমান পানি লাগে। এমনকি ‘ইউ আর ওয়েলকাম’ লিখতেও খরচ হয় দেড় আউন্স পানি।
সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি এআরএম হোল্ডিংস-এর সিইও রেনে হ্যাস সতর্ক করে বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের এক-চতুর্থাংশই যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পেছনে। বর্তমানে যা মাত্র ৪ শতাংশ।
বলাই যায়, প্রযুক্তির এই যুগে সৌজন্যবোধও একটা মূল্য ধরে নিতে হচ্ছে!