প্রকাশিত: : জুন ৫, ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
ছবি: এআই জেনারেটেড
হজযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবার সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহারে নজির স্থাপন করেছে সৌদি আরব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ড্রোন ও ১৫ হাজারের বেশি নজরদারি ক্যামেরা দিয়ে মক্কা ও আশপাশের এলাকায় নিরবিচারে পর্যবেক্ষণ চালানো হচ্ছে।
এআইয়ের সহায়তায় আগে থেকেই ভিড়ের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য ঝুঁকির জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অতীতের মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনা মাথায় রেখেই এবার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শুধু নজরদারিই নয়, হজযাত্রীদের যাতায়াতও পরিচালিত হচ্ছে সফটওয়্যারনির্ভর ব্যবস্থায়। ২০ হাজারের বেশি বাস চলছে পূর্বনির্ধারিত রুট ও সময় অনুযায়ী, যাতে করে কোনো জায়গায় ভিড় বাড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সম্ভব হয়।
মক্কায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে বড় পর্দায় সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ক্যামেরা, রোবট ও ড্রোনের মাধ্যমে আরাফাত পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথের প্রতি ইঞ্চি নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
গত বছরের হজে তীব্র গরমে ১,৩০১ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। এবারও গরমের তীব্রতা মাথায় রেখে ব্যবহৃত হচ্ছে `থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা`। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য বিপদ শনাক্ত করা হচ্ছে।
অনুমোদনহীন হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে ড্রোন ও এআই ব্যবহার করছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে করে নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকা ব্যক্তিদের আগেভাগেই শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আল-বাসসামি জানিয়েছেন, “আমরা স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিটি স্থানে ভিড়, তাপমাত্রা এবং হজযাত্রীদের গতি প্রতিমুহূর্তে পর্যবেক্ষণ করছি।”
হজ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-কারনি বলেন, “এই প্রযুক্তি এখন আমাদের চোখ ও কান। কোথায় বিপদ, কোথায় চাপ—তা আগেই জানিয়ে দেয়।”
হজে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার যে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আগামীর হজ ব্যবস্থাপনায় নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
