প্রকাশিত: : জুলাই ১৩, ২০২৫, ০১:২৯ এএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার কেন অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি বলেন, “আমরা দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি, কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কেন নীরব? তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার, বিএনপি নয়। তাহলে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না—চাই সে অন্যায়কারী বিএনপির হোক বা না হোক, আইনের দৃষ্টিতে বিচার সবার জন্য সমান হতে হবে।”
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। `জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে` ছাত্রদলের শহীদদের স্মরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, “পুরান ঢাকায় যে যুবক খুন হয়েছে, তার সঙ্গে যুবদলের সম্পর্ক থাকতে পারে, কিন্তু হত্যাকারী অন্য জায়গা থেকে আনা হয়েছে। তাকেই এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি, এমনকি হয়তো মামলার আসামিও করা হয়নি। কেন এই অবহেলা?”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কখনও বলিনি কাউকে ধরা যাবে না। বরং আমরা বরাবরই বলেছি, আইনের দৃষ্টিতে বিচার হোক। অন্যায়কারী দলের হোক বা না হোক, কোনো প্রশ্রয় নয়। আমাদের পক্ষ থেকে যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তারেক রহমান মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “ভিডিও ফুটেজে স্পষ্টভাবে হামলাকারীদের দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত তারা ধরা পড়েনি। এটি কি সরকারের নীরব সমর্থন বা কোনো গোপন প্রশ্রয়ের ইঙ্গিত?”
তিনি অভিযোগ করেন, দেশে সহিংসতা ও অস্থিরতা তৈরির পেছনে সরকারের কোনো অংশ নীরব ভূমিকা রাখছে কি না, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে।
আশ্বস্ত করে তারেক রহমান বলেন, “যদি বিএনপি জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে আমরা সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করব। শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।”
অনুষ্ঠানে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “চোখ-কান খোলা রাখুন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই এখনো শেষ হয়নি।”
সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরি। প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে জাতি ক্ষমা করবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির মূল কারণ গণতান্ত্রিক নির্বাচন না হওয়া। নির্বাচিত সরকার না থাকায় অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ শহীদ পরিবারের সদস্যরা।