প্রকাশিত: : জুন ৮, ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার ও হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে বৈঠক করতে চেয়েছেন। রোববার (৮ জুন) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
একটি চিঠির মাধ্যমে টিউলিপ এই অনুরোধ জানান। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগ ও ভুল বোঝাবুঝির বিষয়ে সরাসরি আলোচনার সুযোগ চান তিনি।
প্রসঙ্গত, টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। সম্প্রতি বাংলাদেশের দুদক অভিযোগ করেছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে টিউলিপ ও তার মা ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে’ ঢাকায় একটি ৭,২০০ বর্গফুটের প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। যদিও টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং সেগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি জানান, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তার সঙ্গে বা তার আইনজীবীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ যোগাযোগ করেনি।
চিঠিতে টিউলিপ বলেন, “লন্ডনে আপনার সফরের সময় যদি আমাদের সাক্ষাৎ হয়, তাহলে আমার মায়ের বোন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে থাকা কিছু প্রশ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব হবে। এই আলোচনা দুদকের সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করতে সহায়ক হতে পারে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমি একজন ব্রিটিশ নাগরিক, লন্ডনেই জন্মগ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ নিয়ে আবেগ থাকলেও, সেখানে আমার কোনও বাসস্থান, জন্মস্থান কিংবা ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা নেই।”
টিউলিপ অভিযোগ করেন, তার আইনজীবীরা ঢাকার দুদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাননি। উল্টো প্রতিষ্ঠানটি একটি অচেনা ঠিকানায় নথিপত্র পাঠাচ্ছে, আর প্রতিটি পদক্ষেপ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করা হচ্ছে।
তিনি আরও লেখেন, “এই মিথ্যা অভিযোগগুলো আমার সংসদীয় দায়িত্ব এবং দেশের প্রতি আমার দায়িত্ববোধকে বিঘ্নিত করছে।”
উল্লেখ্য, টিউলিপ সিদ্দিক ২০২3 সালে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড বিষয়ক উপদেষ্টা কর্তৃক নির্দোষ ঘোষিত হয়েও পদত্যাগ করেন, কারণ তিনি মনে করেছিলেন, এই বিতর্ক কেয়ার স্টারমারের সরকারকে বিব্রত করতে পারে।
অন্যদিকে, ড. ইউনূস আগামী ৯ জুন লন্ডন সফরে যাচ্ছেন। সফরে তাকে রাজপরিবারের আয়োজনে কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান করা হবে। এছাড়া, চ্যাথাম হাউজে একটি বিশেষ আলোচনায় অংশগ্রহণ ছাড়াও তার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ও রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
