প্রকাশিত: : মে ৯, ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের একটি দল শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত আইভীর বাড়ি চুনকা কুটিরে প্রবেশ করে। এ সময় আইভীর গ্রেপ্তারের খবরে স্থানীয় তার সমর্থকরা রাস্তায় নেমে এলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ একটি দল আইভীর বাড়ি, চুনকা কুটিরে প্রবেশ করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করলে স্থানীয় সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসে, যার ফলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইভীর গ্রেপ্তারের খবরে তার সমর্থকরা রাস্তায় বিক্ষোভ করতে শুরু করেন এবং সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
আইভীকে শুক্রবার (৯ মে) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মিনারুল হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হলে, নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদের তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চুনকা কুটির থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আইভীকে গ্রেপ্তারের পর, সকালে তার সমর্থকরা পুলিশবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ডিম নিক্ষেপ করেন। বিবি রোডের কালীবাজার এলাকায় পটকা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পুলিশ জানায়, হামলার সময় পুলিশের দুই সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে আইভী নিরাপদ ছিলেন।
আইভীর গ্রেপ্তারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হলে, তার সমর্থকরা গ্রেপ্তার ঠেকাতে রাস্তায় বাঁশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ও বালু ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। আশপাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে আইভীর বাড়ির দিকে আসার আহ্বান জানানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার আগে এক বক্তব্যে আইভী বলেন, "আমি জেল থেকে হলেও নির্বাচন করব। আমি কাউকে ভয় পাই না। আমি চুনকার মেয়ে।" নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে, যার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।