প্রকাশিত: : জুন ২৪, ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া
ম্যাডিসন, যুক্তরাষ্ট্র, ২০ জুন ২০২৫
ইসরায়েল/ইরান/আমেরিকা যুদ্ধটা দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়াচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে কিছু অন্তঃসারশূন্য হুমকি-ধামকি দিয়েছেন, কিন্তু যুদ্ধে সরাসরি আমেরিকার হস্তক্ষেপ করার কোন সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি। ইউরোপীয়রা আরেকটি বড় মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে চায় কারণ ইরাক-সিরিয়া যুদ্ধের পরিণতিতে লক্ষ-লক্ষ রিফিউজির স্রোত পুরো ইউরোপীয় কল্যাণ-রাষ্ট্রের বন্দোবস্তকেই নড়বড়ে করে দিয়েছে। ইরানের ৯০ মিলিয়ন মানুষের স্রোত ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর জন্য একটি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। যার ফলে ইউরোপীয়রা যুদ্ধ বন্ধে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এটি কাজ করবে কিনা তা নির্ভর করবে ইসরায়েল ও আমেরিকার ডিপস্টেটের উপর। তবে এখন পর্যন্ত যুদ্ধ পরিস্থিতি কার্যত যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে এটি ওয়ার অব এট্রিশনে, অর্থাৎ দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে যুদ্ধটি যদি সত্যি-সত্যি একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে রূপ নেয় সেক্ষেত্রে কী ঘটতে পারে? আমি মনে করি তিনটি বড় ধরনের ঘটনা ঘটবে, যা আমি আগের এক লেখায়ও উল্লেখ করেছি।
প্রথমত, ইসরায়েল একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জেতার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। তারা সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে (”স্যামসন অপশন”) ইরানে পারমানবিক বোমা হামলা চালাতে পারে। তবে এটি তাদের চূড়ান্ত পরাজয় ঠেকাতে পারবে বলে মনে হয় না। দ্বিতীয়ত, একটি প্রলম্বিত যুদ্ধে ইরান কার্যত একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হয়ে পড়বে। এর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু “মাটির নিচের ইরান” একটি প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যার প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। তৃতীয়ত, আমেরিকান সাম্রাজ্যের পতন হবে এবং আমেরিকা একটি দীর্ঘস্থায়ী আভ্যন্তরীণ ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে। আমেরিকান জায়োনিজমের যবনিকাপাত হবে ও জায়োনিজম তার নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটবে।
এই প্রতিটি ঘটনার পরিণতি সুদূরপ্রসারী। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আমার দীর্ঘ দুই দশকের একাগ্র পড়াশোনা ও গবেষণা অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিচে কয়েকটি আঙ্গিক বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছি।
১। ইসরায়েল একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জেতার সম্ভাবনা আমি মনে করি একেবারেই শূন্যের কোঠায়। এর অনেকগুলো রাজনৈতিক ও সামরিক কারণ রয়েছে। আমি দুটো বড় কারণ উল্লেখ করতে চাই:
প্রথমত, ইসরায়েলের কোন স্ট্রাটেজিক ডেপ্থ নেই যেটি ইরানের আছে। অর্থাৎ একটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে ইসরায়েলের প্রায় সমস্ত অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে এটি একটি মিনি গাজায় পরিণত হবে। ইসরায়েল বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। মনে রাখতে হবে যে, ইসরায়েলে বেশিরভাগ নাগরিকের একাধিক পশ্চিমা নাগরিকত্ব রয়েছে। প্রায় ৭ লক্ষ ইসরায়েলির আমেরিকার নাগরিকত্ব রয়েছে। আমাদের পরিচিত কিছু প্রফেসরও এই তালিকায়। তারা ইতোমধ্যে ইসরায়েল ছেড়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা অনুমান করা ভুল হবে না যে এই দ্বৈত পশ্চিমা নাগরিকরা বিধ্বস্ত ইসরাইল ছেড়ে স্থায়ীভাবে পশ্চিমে পাড়ি দিবে এবং আর ফিরবে না। অন্যদিকে ইরান ইসরায়েলের ৮০ গুণ বড়। এর কৌশলগত স্থাপনাগুলো সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তারা বছরের পর বছর সংঘাত চালিয়ে যেতে পারবে। এছাড়া অনেক ইরানী পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও তুরস্কসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নিলেও বেশিরভাগ ইরানীর যাওয়ার কোন জায়গা নেই, সুতরাং তারা দেশেই থাকবে। অনেকেই ইরানী সামরিক বাহিনীর সাথে মিলে প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগ দিতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ইসলামী বিপ্লবের পর, আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর ইরান গত প্রায় ৪০ বছর ধরে এই ধরনের যুদ্ধের জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছে যেখানে তারা তাদের দুর্বলতা জানে যে আকাশযুদ্ধে তারা দুর্বল। যার কারণে এই চার দশকে ইরান মাটির নিচে আরেকটি ইরান তৈরি করেছে যেখানে কেবল কয়েক ডজন ‘আন্ডারগ্রাউন্ড মিসাইল সিটি’-ই কেবল নয়, বরং আন্ডারগ্রাউন্ড নেভার বেইজ, এয়ার বেইজ সবই তারা তৈরি করেছে। আমি মনে করি ইরানের সামরিক সক্ষমতার ৮০ ভাগ তারা মাটির নিচে নিয়ে গেছে যেগুলো কনভেনশনাল যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব। আপনি এগুলো জিপিএস দিয়ে ট্র্যাক করতে পারবেন না, এবং জানবেনও না যে এগুলো এক্সিস্ট করে। এগুলো ধ্বংস করার একমাত্র উপায় স্থল অভিযান। কিন্তু ইরানকে বলা হয় এগ্রেসরদের আতঙ্ক/ নাইটমেয়ার। ইরান কার্যত একটি দুর্গ সমতূল্য। এটি প্রায় তিন দিকে সুবিশাল পর্বতমালা দিয়ে ঘেরা, একপাশে কৃষ্ণ সাগর।
২) ইরানে বড় ধরনের স্থল অভিযান পরিচালনার সামর্থ্য আছে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু এমনকি যুক্তরাষ্ট্র স্থল অভিযান চালালেও এটি ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পাল্লায় পড়ে ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনায় বাংকার বাস্টার বোমা অথবা অন্য কোন উপায়ে আক্রমণ করে, ও ইরান জবাবে আশেপাশের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা করে হতাহতসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে, এবং তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে স্থল অভিযান পরিচালনা করে, আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি হবে ভিয়েতনাম যুদ্ধের চেয়েও বড় ফাঁদ যেখানে হাজার-হাজার মার্কিন সেনা প্রাণ হারানোর ঝুঁকি থাকবে কিন্তু চূড়ান্ত অর্জন হবে নেহায়েতই শূন্য। কেন?
বলা হয় যে শক্তিশালী আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে আপনি সারভাইভ করলে/ টিকে থাকলে আপনি জিতে যাবেন। অর্থাৎ শক্তিশালী আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে আপনাকে “জিততে” হবে না, কেবল “টিকে থাকলেই” হবে - যেকারণে ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে “টিকে যাওয়া” হিজবুল্লাহকে বিজয়ী গণ্য করা হয়। সুতরাং একটা জোরদার সম্ভাবনা হচ্ছে ইরানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও ইরানীরা প্রতিরোধ করে যাবে এবং ”টিকে যাবে”। যুক্তরাষ্ট্র বছরের-পর-বছর যুদ্ধ চালিয়ে ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো রণে ক্ষান্ত দিবে। কিন্তু ইরাক যুদ্ধের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ক্ষয়ক্ষতি মেনে নিয়ে। মনে রাখতে হবে, ইরাক যুদ্ধে আমেরিকা প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেছে। অর্থাৎ একটা প্রলম্বিত ইরান যুদ্ধে আমেরিকা ৮-১০ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে হতে পারে। যা আমেরিকার বর্তমান জিডিপির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। সেটি করলে আমেরিকান অর্থনীতি কার্যত দেউলিয়া হয়ে যাবে। আমেরিকা তার বৈশ্বিক সামরিক আধিপত্য হারাবে।
৩। আমেরিকার পরাজয় কেবল আমেরিকান সম্রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এটি আমেরিকার আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করবে। আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আরেকটি ওয়াইমার রিপাবলিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যেখানে সাধারণ আমেরিকানরা ইসরায়েলের এই যুদ্ধে আমেরিকাকে জড়ানো ও রাষ্ট্রকে দেউলিয়া করার “অপরাধে” জায়োনিস্টদের দায়ী করবে এবং তাদের উপর প্রচণ্ড আক্রোশ নিয়ে হামলে পড়বে।
এটি প্রথম “ওয়াইমার রিপাবলিক”-এর পুনঃমঞ্চায়ন হবে মাত্র। স্মর্তব্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর জার্মানীতে জাতীয়তাবাদী জার্মানরা জায়োনিস্টদের উপর ব্যাপক আক্রোশে হামলে পড়েছিলো কারণ তাদের অভিযোগ ছিলো যে জায়োনিস্ট গোষ্ঠীগুলো তৎকালীণ জার্মানীর বড়-বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, বিনোদন জগতের উপর প্রায় নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিলো। (বর্তমান আমেরিকার সাথে মিল পান?) এবং যুদ্ধে তারা যথেষ্ট দেশপ্রেমিক ছিলো না ও শত্রুর সাথে ‘কোলাবোরেট’ করেছিলো। জার্মানরা জায়োনিস্টদের এই ”বিশ্বাসঘাতকতার” অভিযোগকে পুঁজি করে ব্যাপক ইহুদি-বিদ্বেষ তৈরি করে। যার পরিণতি আমরা দেখি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদিদের উপর জার্মানদের চূড়ান্ত আক্রোশ।
৪) ওয়াইমার রিপাবলিকের প্রসঙ্গটি কেন আনলাম? আমার দুশ্চিন্তা হয় যে আমেরিকাতেও ওয়াইমার রিপাবলিকের পুনঃমঞ্চায়নের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। আমেরিকায় প্রগতিশীলদের একটা বড় অংশ আগে থেকেই জায়োনিস্ট লবির অতি-ইসরায়েল প্রীতি এবং আমেরিকাকে মধ্যপ্রাচ্যের নিরন্তর যুদ্ধে জড়ানোর কারণে ক্ষিপ্ত। তবে রক্ষণশীলরা বরাবরই জায়োনিস্টদের প্রতি সহানুভুতিশীল ছিলো। কিন্তু এবার নতুন যে ঘটনাটি ঘটছে সেটি হলো আমেরিকার রক্ষণশীলদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ইরান যুদ্ধের ডামাডোল ঘিরে (কিংবা তারও আগে “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির কারণে) জায়োনিজমের বিরুদ্ধে চলে গেছে। টাকার কার্লসন, স্টিভ ব্যানন, ক্যান্ডেস ওয়েন্সসহ নামীদামী রক্ষণশীল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও প্রোপাগান্ডিস্টরা কেবল সক্রিয়ভাবে ইরান যুদ্ধের বিরোধীতাই করছে না, বরং তারা ইসরায়েল ও জায়নবাদের বিরুদ্ধে কার্যত তথ্য-যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমেরিকার রাজনীতিতে এর প্রভাব হবে অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী হবে।
৫) আমার অনুমান হচ্ছে আমেরিকা যদি ইরান যুদ্ধে জড়িয়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়, আমেরিকার প্রগতিশীল ও রক্ষণশীল উভয় অংশ মিলে সারা আমেরিকায় জায়নবাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ঘৃণা উৎপাদন করবে এবং একটা জাতীয়তাবাদী জোয়ার তৈরির চেষ্টা করবে, ঠিক যেমন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিপর্যয়ের পর জার্মান জাতীয়তাবাদীরা জায়নবাদীদের দায়ী করে করেছিলো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে জায়োনিস্টদের প্রতি জাতীয়তাবাদী আমেরিকানদের এই সম্ভাব্য আক্রোশে অনেক নিরীহ ইহুদিও লক্ষ্যবস্তু হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনকি মুসলমানরাসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীও আক্রোশের লক্ষ্যবস্তু হবে।
টীকা ১: আমি চাই মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আমার অনেক অনুমান মিথ্যা হোক। মানুষ যুদ্ধ চায় না। কিন্তু আমি মানুষের ব্যবহার পাঠ ও গবেষণা করি তার সহজাত প্রবৃত্তি দিয়ে। কারণ হাজার-হাজার বছরের লিখিত মানব ইতিহাস পাঠ করে আমার মনে হয়েছে আমরা যতই উৎকর্ষতা অর্জন করি, আমরা আমাদের মানবীয় আবেগ-অনুভূতি-রাগ-ক্রোশ অর্থাৎ আমাদের ষড়রিপুর দ্বারা সীমাবদ্ধ। এর একটি সরল উদাহরণ হচ্ছে, শান্তিকালীন সময়ে মানুষ শক্তি অর্জন করতে চায়। আবার সে শক্তিশালী হলে দুর্বলের উপর শোষণ করতে চায়। দুর্বল এই শোষণের জবাবে নিজে শক্তি অর্জনের চেষ্টা করে, অর্জন করেও। তারপর দুর্বল সবলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে যার ফলে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠে। এই শান্তি ও সংঘাতের চক্রটি মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে সামষ্ঠিক বা গোষ্ঠীজীবনের একটি নিরন্তর চক্র। অলঙ্ঘনীয়।
টীকা ২: মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে যেকোনো অনুমান কঠিন, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি অনেক বেশি জটিল। এখানে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কোন লিনিয়ার বা একরৈখিক কোন সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। যার ফলে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কে কী বলছে এবং সেটি কতটুকু নির্ভরযোগ্য তা নির্ভর করবে লেখকের এই অঞ্চল সম্পর্কে গভীর জানাশোনা ও নিজস্ব প্রজ্ঞার সমন্বয়ের উপর। আমি দাবী করবো না আমার এগুলো আছে। তবে আমি প্রায় দুই দশকের কাছাকাছি মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতির একাগ্র পাঠক। কিছু গবেষণা করেছি, প্রকাশনাও আছে। আমার ক্ষুদ্র এই পড়াশোনা-গবেষণা ও জানাশোনা থেকে আমি মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলীকে পাঠ করি। সে উপলব্ধি থেকে বলছি যে যারা এই লেখাটি পড়বেন বা মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আরও কোন অনুমান পড়বেন তারা এসব পূর্বানুমানকে ফেসভ্যালুতে না নেওয়ার অনুরোধ রইলো। প্রতিটি পূর্বানুমান/ বক্তব্যের পিছনে দীর্ঘ ব্যাখ্যা রয়েছে। সেগুলো স্বল্পপরিসরের লেখায় উল্লেখ করা সম্ভব হয় না। সুতরাং সতর্ক পাঠ অপরিহার্য।