প্রকাশিত: : জুলাই ২৬, ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গত ২৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) চৈতালী নবীনবরণ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ২০২৫ আয়োজিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় ঢাবির মিরপুরস্থ বাসরুটের সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা। এছাড়াও অনুষ্ঠাটির ফটোগ্রাফি পার্টনার হিসেবে ছিলো `ঘুরি ফিল্মস` এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো `দ্য নিউজ কমপ্রেস` ।
আনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা বলেন,‘‘বাসরুটভিত্তিক অনুষ্ঠানগুলো ক্যাম্পাসের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে প্রশাসনের একত্রিত হওয়ার অন্যতম উপলক্ষ্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিবহণ সমস্যার সংকটগুলো কাটাতে দৃঢ়ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকায় আমাদের কিছুটা সময়ের প্রয়োজন।’’
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির শিক্ষার্থীরা নাচ, গান ও অভিনয় ইত্যাদি পরিবেশনার মাধ্যমে নবীন শিক্ষার্থীদের আনন্দময় পরিবেশে ফুল, ক্রেস্ট ও চাবির রিং দিয়ে বরণ করে নেয়। এছাড়াও প্রোগ্রামে পারফর্ম করে জনপ্রিয় ব্যান্ড এনেস্থেশিয়া।
চৈতালী বাসরুটের জেনারেল সেক্রেটারি মোঃ মামুনুর রহমান বলেন, ‘‘সংগঠন হিসেবে চৈতালী বন্ধন, ভ্রাতৃত্ব ও স্মৃতিতে পরিপূর্ণ। নবীনদের বরণ করে নিতে আমাদের কমিটি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল।’’
বাসরুটটির প্রেসিডেন্ট ফরহাদ মাহমুদ ফাহিম বলেন, ‘‘প্রতি বছরই ‘হৃদয়ে চৈতালী’ স্লোগান নিয়ে আমাদের এই মেগা ইভেন্টটি আয়োজিত হয়। বরাবরের মতো এবারও প্রথম বর্ষের চৈতালীয়ানদের কাছে দিনটি স্মরনীয় হয়ে থাকবে।’’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৮টি বাসরুট রয়েছে যেগুলো ক্যাম্পাসের অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থীদেরকে পরিবহণ সুবিধা দিয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বাসরুট চৈতালী ১৯৮০-এর দশকে যাত্রা শুরু করেছিল। বর্তমানে সংগঠনটির বাসগুলো শ্যামলী হয়ে মিরপুর ১২ পর্যন্ত যাতায়াত করে।
চৈতালী বাসরুটের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও এলামনাই মোঃ রাফিজ খান বলেন, ‘‘সাড়ে চার দশকের পুরনো সংগঠনটির রয়েছে একটি শক্তিশালী এলামনাই পরিবার। নবীনবরণের পাশাপাশি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটিতে সংগঠনটির এলামনাইদের একত্রিত হওয়ার উপলক্ষ্য তৈরি হয়। যারা হয়তো ক্যাম্পাস জীবন শেষ করে পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেছে; তবে তারা এখনও নিজেদের চৈতালীয়ান পরিবারের অংশ মনে করেন।’’