শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

সিরাজগঞ্জের চর অঞ্চলে মঞ্চ নাটক “আলোর পথের যাত্রী” গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা বৃদ্ধি

টিএনসি রিপোর্ট

প্রকাশিত: : অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ১২:০৫ এএম

সিরাজগঞ্জের চর অঞ্চলে মঞ্চ নাটক “আলোর পথের যাত্রী” গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা বৃদ্ধি

সিরাজগঞ্জের একটি দুর্গম চর অঞ্চলে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মঞ্চ নাটক “আলোর পথের যাত্রী”-এর দ্বিতীয় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫। আয়োজনটি করেছে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড)।

নাটকটি বাংলাদেশের নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে পরিচালিত “ডিজিটাল ঝুঁকি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে প্রচারমাধ্যম কর্মী, ছাত্রী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নারীদের ক্ষমতায়ন” প্রকল্পের আওতায় আয়োজন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলায় স্থানীয় এনজিও পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে প্রোগ্রাম ফর উইমেন ডেভেলপমেন্ট।

চর এলাকাটি শুধুমাত্র নদীপথে পৌঁছানো সম্ভব হওয়ায় আয়োজকদের সেখানে যেতে নৌকা ব্যবহার করতে হয়। কঠিন ভৌগোলিক অবস্থান সত্ত্বেও স্থানীয়দের অংশগ্রহণ ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। শতাধিক পুরুষ, নারী, মাদরাসা ও স্কুলছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নাটকটি উপভোগ করেন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে উপস্থিত হন।

নাটকটিতে তুলে ধরা হয় কীভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতারণা সংঘটিত হতে পারে এবং এ ধরনের পরিস্থিতিতে কীভাবে সচেতন থাকা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নেওয়া যায়। দর্শকদের জানানো হয় গুরুত্বপূর্ণ জরুরি হেল্পলাইন নম্বর — ৯৯৯ (জরুরি সহায়তার জন্য) এবং ১০৯ (নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের জন্য)।

অংশগ্রহণকারীরা জানান, নাটকটি তাদের দৈনন্দিন জীবনে অনলাইন ব্যবহারে সচেতনতা ও আত্মরক্ষার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে। তারা মনে করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে এ ধরনের সচেতনতামূলক সাংস্কৃতিক উদ্যোগ গ্রামীণ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাদমান আল আরবী, প্রোগ্রাম অফিসার, সাকমিড; এবং হুসনে আরা জলি, নির্বাহী পরিচালক, প্রোগ্রাম ফর উইমেন ডেভেলপমেন্ট (পিডাব্লিউডি)।

আয়োজকরা জানান, “আলোর পথের যাত্রী” নাটকের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার এই উদ্যোগ শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং সমাজে দায়িত্বশীল ও নিরাপদ ডিজিটাল নাগরিকত্ব গড়ে তুলতেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে

Link copied!