প্রকাশিত: : অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
বাংলাদেশ রোড সেফটি নেটওয়ার্কের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের নগর গণপরিবহনে যাতায়াতকারী ৮৩ শতাংশ নারী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সংগঠনটির দাবি, বাসের কাঠামোগত ত্রুটি ও পরিবহন শ্রমিকদের আচরণ নারীবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থার বড় বাধা।
দেশের নগর গণপরিবহনে যাতায়াতকারী নারীদের ৮৩ শতাংশ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড সেফটি নেটওয়ার্ক। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় টেকসই পরিবহন কৌশল ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের দাবি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সমন্বয়ক পাহাড়ি ভট্টাচার্য এ তথ্য তুলে ধরেন। পাহাড়ি ভট্টাচার্য বলেন, গণপরিবহন বিশেষ করে নগর গণপরিবহন কোনোভাবেই নারীবান্ধব নয়। বাসের গেট সরু এবং সিট (আসন) খুবই অপরিষ্কার।
বাসগুলো কাঠামোগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ। বাসের দরজা সামনের দিকে ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন কভারে এবং ইঞ্জিনের পাশের সিটে নারীদের বসানো হয়। তাঁদের শরীর মাড়িয়ে পুরুষ যাত্রীরা ওঠানামা করে।
তাই বাসের দরজা বাসের মধ্যভাগে করতে হবে। নগর গণপরিবহনে যাতায়াতকারী নারীদের ৮৩ শতাংশ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। রোদ-বৃষ্টিতে, দিনরাতে বিশেষ করে পিক-আওয়ারে পরিবহন শ্রমিকরা নারী যাত্রীদের বাসে তুলতে চান না। পুরুষ যাত্রীরাও আপত্তি করেন।
আমরা নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব গণপরিবহনের দাবি করছি।