মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫

বগুড়ায় চালু হচ্ছে দেশের ৫৫তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

টিএনসি ডেস্ক

প্রকাশিত: : জুন ১৯, ২০২৫, ০১:১৯ পিএম

বগুড়ায় চালু হচ্ছে দেশের ৫৫তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের প্রতীক্ষার পর অবশেষে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে দেশের ৫৫তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়—বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ৮টি বিভাগ নিয়ে ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য নির্ধারিত স্থান এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয়নি। তবে অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকেই প্রাথমিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা। তিনি বলেন, “বগুড়ার মানুষ বিজ্ঞানমনস্ক এবং শিক্ষানুরাগী। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হলে দীর্ঘদিনের এক স্বপ্ন পূরণ হবে।”

২০০১ সালে প্রথম বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন দেওয়া হলেও নানা প্রশাসনিক জটিলতায় তা দীর্ঘদিন থমকে ছিল। সর্বশেষ ২০২৩ সালে আইন কার্যকরের পর চলতি বছরের ৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান।

উপাচার্য জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ৮টি বিভাগে পাঠদান শুরু হবে এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও মানবসম্পদ ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন অস্থায়ী অফিস স্থাপনের উপযুক্ত স্থান খুঁজে বের করার কাজ চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য প্রথমে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশের জামালপুর মৌজায় জায়গা নির্ধারণ করা হলেও পরে সদর উপজেলার নুরইলের বিল এলাকায় স্থানান্তরের প্রস্তাব আসে। বিভিন্ন সময়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে কার্যকর অগ্রগতি হয়নি।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ ড. শওকত আলম মীর বলেন, “এতদিনে বগুড়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা ছিল লজ্জার। এই উদ্যোগ সময়োচিত।”
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হাসানাত আলী বলেন, “এটি শুধু প্রশাসনিক নয়, সামাজিকভাবেও একটি বড় অর্জন।”
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা মন্তব্য করেন, “যত দেরিতেই হোক, উপাচার্য নিয়োগের মধ্য দিয়ে বগুড়াবাসীর আশা জাগ্রত হয়েছে। কার্যক্রম দ্রুত শুরু হলে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে।”

Link copied!