প্রকাশিত: : মে ৪, ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
কিডনি ডায়ালাইসিস। ছবি: এআই জেনারেটেড
সরকার কিডনি রোগীদের চিকিৎসার মান বাড়াতে ১ হাজার ডায়ালাইসিস মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি শনিবার ঢাকার মিরপুর ২-এ বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে `কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন` শীর্ষক অধিবেশনে এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, "এক হাজার ডায়ালাইসিস মেশিন কেনার প্রক্রিয়া চলছে, তবে কিডনি রোগীর সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তাতে মেশিনগুলো স্থাপন করা সত্ত্বেও সব রোগীকে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা খুবই জরুরি।" বর্তমানে দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত, আর এই রোগীদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ডায়ালাইসিস সেবা পায় না।
এই সংকট সমাধানে সরকার কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সহজ করতে আইনি জটিলতা সংশোধন করছে এবং ডায়ালাইসিস মেশিন কেনার পাশাপাশি কিডনি রোগীদের নিবন্ধন করতে উদ্যোগ নিয়েছে। সাইদুর রহমান আরও জানান, "স্কুল পাঠ্যপুস্তকে কিডনি রোগ সচেতনতা অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং কিডনি রোগীদের নিবন্ধন করতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (এনআইকেডিউ) দায়িত্ব পেয়েছে।"
বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হারুন-অর-রশিদ বলেন, "দেশে বর্তমানে ২৫০টি কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার রয়েছে, এর ৮০ শতাংশই ঢাকায়। এই ডায়ালাইসিস মেশিনগুলি ঢাকার বাইরে স্থাপন করা হলে, সারা দেশে সেবা সহজ হবে।"
কিডনি চিকিৎসায় দক্ষ জনবলের অভাবও রয়েছে, জানিয়ে তিনি বলেন, "এছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপনে আইনি জটিলতা রয়েছে, যা সংশোধন করা হচ্ছে।"
অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান, বলেন, "বিশ্বব্যাপী কিডনি প্রতিস্থাপনে ডোনারের সংকট রয়েছে। আমাদের দেশে কিডনি দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত বাধা রয়েছে, যা দূর করতে নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।"
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আরও জানান, "দেশে বছরে কিডনি প্রতিস্থাপনের চাহিদা প্রায় ৫ হাজার, কিন্তু বছরে মাত্র ১২০ জন রোগী তাদের আত্মীয়দের কাছ থেকে কিডনি পাচ্ছেন।" তিনি বলেন, "যদি ব্রেইন-ডেড ব্যক্তিদের কাছ থেকে কিডনি সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপন করা যায়, তাহলে সংকট কিছুটা কমে যাবে।"