প্রকাশিত: : মে ২৬, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের দিন তিনি স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা একটি বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম `দি ওয়াল নিউজ`-কে দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে তিনি তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।
কাদের বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন তিনি ঢাকার সংসদ এলাকার বাসা ছেড়ে পাশের একটি বাসায় আশ্রয় নেন। তখন চারপাশে মিছিল-প্রতিবাদের ঢল নামে। ওই বাসায় হামলা চালিয়ে লুটপাট শুরু করলে তিনি ও তার স্ত্রী বাথরুমে আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে বাথরুমে প্রবেশ করে কিছু তরুণ তাকে চিনে ফেলে। তারা কাদেরের ছবি তোলে, সেলফি নেয়, কেউ কেউ তাকে জনতার বা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাবও দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত তারা কাদেরকে এক ধরনের ছদ্মবেশে নিরাপদে বের করে দেন এবং একটি ইজি বাইকে করে দূরে পৌঁছে দেয়।
সাক্ষাৎকারে কাদের আরও বলেন, সরকার পতনের পর তিন মাস তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন এবং রাজনৈতিক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছিলেন। এরপর নিরাপত্তার কারণে ভারতে চলে যান। তিনি জানান, তার নামে ২১২টি হত্যা মামলা রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ব্যাখ্যায় কাদের বলেন, এটি ছিল ষড়যন্ত্রমূলক এবং তাৎক্ষণিক কোনো গণঅভ্যুত্থান ছিল না, বরং এটি একটি পরিকল্পিত বিস্ফোরণ। তিনি স্বীকার করেন, সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা ছিল।
তবে ভারতে বসে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি দেশে গিয়ে আমার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে পারি, কিন্তু বিদেশে বসে তা করব না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর তিনি বলেন, দলটি আবার ঘুরে দাঁড়াবে, শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন, এ নিয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদী। কাদের আরও বলেন, ভারত সবসময় আওয়ামী লীগের বিপদের বন্ধু ছিল এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে।
