প্রকাশিত: : মে ১৯, ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের মধ্যে দায়ের হওয়া এমন সাড়ে ১০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এসব মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক বিবেচনায় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তা বাতিল করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৫০৬টি মামলার বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারার আওতায় এসব মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নে জেলা পর্যায়ে এবং মন্ত্রণালয় পর্যায়ে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা কমিটির নেতৃত্বে আছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, এবং সদস্য হিসেবে আছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার এবং পাবলিক প্রসিকিউটর।
জেলা কমিটি যদি মনে করে কোনো মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, তাহলে সেটি সুপারিশসহ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর সেই তালিকা যাচাই করে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি মামলাগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনে তা কার্যকর করা হয়।
মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। পুরো প্রক্রিয়ার লক্ষ্য হলো রাজনৈতিক কারণে নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো বাতিল করে তাদের হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়া।
এই উদ্যোগের আওতায় ব্যক্তি পর্যায়ে আবেদন করার সুযোগও রয়েছে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলার এজাহার ও চার্জশিটের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। এরপর সেই আবেদন যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ চলমান থাকবে এবং এর মাধ্যমে নিরপরাধ রাজনৈতিক কর্মীদের অনর্থক হয়রানি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।