প্রকাশিত: : নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৩:১৮ পিএম
বিশ্বজুড়ে পরিবার ও নিকটজনের হাতে নারী হত্যার হার ভয়াবহভাবে বাড়ছে—জাতিসংঘের নতুন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে প্রতি ১০ মিনিটে একজন নারী নিজের ঘরেই খুন হয়েছেন।
নারী ও কন্যারা নিজের পরিবার বা কাছের মানুষদের কাছে নিরাপদে নয়। বিশ্বব্যাপী নারীরা তাদের কাছের মানুষ কিংবা পরিবারের সদস্যদের হাতে খুনের শিকার হচ্ছেন। ২০২৩ সালে বিশ্বে প্রতি ১০ মিনিটে পরিবারের সদস্য কিংবা সঙ্গীর হাতে খুন হয়েছেন একজন নারী। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জাতিসংঘ মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিসি) ও জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেনের একটি যৌথ গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী নারী হত্যার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলছে। লৈঙ্গিক সহিংসতার চরম প্রভাব থেকে বিশ্বের কোনো দেশ বাদ নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর প্রায় ৮৫ হাজার নারী ও কন্যা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৫১ হাজারের বেশি নারী ও কন্যা তাদের কাছের মানুষ বা সঙ্গী কিংবা পরিবারের সদস্যদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে ১৪০ জন নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সে হিসেবে প্রতি ১০ মিনিটে নিকটজনের হাতে খুন হয়েছেন একজন নারী।
ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহৌস বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ, সরকারের দায়িত্বশীল আচরণ এবং নারী অধিকার সংগঠন ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থার জন্য আরও বেশি অর্থায়নের প্রয়োজন। এ ছাড়া নারীর প্রতি সহিংসতার বন্ধে একটি শূন্য সহনশীলতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
ইউএনওডিসির নির্বাহী পরিচালক গাদা ওয়ালি বলেন, ‘লিঙ্গ বৈষম্য, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা ও সমাজের কিছু ক্ষতিকর ধারণা নারীর প্রতি সহিংসতাকে টিকিয়ে রেখেছে। এসবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতার বন্ধে আইন প্রয়োগ বাড়াতে হবে।’
এ প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, গতবছর মৃত্যুর এই হার আফ্রিকায় বেশি ছিল। এ ছাড়া ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ায়ও নারীরা কাছের মানুষ বা স্বজনদের হাতে মারা যাচ্ছেন।