প্রকাশিত: : জুন ৮, ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
গাজা উপত্যকায় ঈদের সকাল রক্তপাত আর কান্নার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর একাধিক বিমান হামলায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন অন্তত ৪২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। তীব্র নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমও।
যুক্তরাষ্ট্র-সহায়িত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ‘পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত’ স্থগিত থাকবে। এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে থাকা হাজার হাজার শরণার্থীর মানবিক সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়, শুক্রবার নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ খান ইউনুসের নাসের মেডিকেল সেন্টারে, ১৬ জনের মরদেহ গাজার আল-শিফা হাসপাতালে, ৫ জনের মরদেহ আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে এবং আরও ৫ জনের মরদেহ দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে পৌঁছেছে।
গাজায় কর্মরত সাংবাদিক তারেক আবু আজউম বলেন, “ঈদের এই দিনটা কেবল আনন্দের নয়, এখন এটি বেঁচে থাকার সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে।”
এদিকে, গাজায় সাংবাদিক হত্যার তালিকা আরও দীর্ঘ হলো। বৃহস্পতিবারের হামলায় গুরুতর আহত এক সাংবাদিক শুক্রবার আল-আহলি হাসপাতালে মারা যান। এতে করে চলমান সংঘাতে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২২৬ জনে।
গাজার সরকারি মিডিয়া সেন্টার এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘সংগঠিত অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।