প্রকাশিত: : মে ৭, ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা অবশেষে ভয়াবহ সংঘাতে রূপ নিয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় বেসামরিক প্রাণহানি ঘটেছে, এবং ভারত-পাকিস্তানে স্কুল, কলেজ এবং বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ২৬ এপ্রিল পহেলগামে ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের নয়টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্র লে. জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, ভারত ২৪টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আহমেদপুর শারকিয়া, শিয়ালকোট, মুরিদকে, শকরগড়, কোটলি এবং মুজফ্ফরাবাদ। আহমেদপুরে একটি মসজিদে হামলায় পাঁচজন নিহত এবং অন্তত ৩১ জন আহত হয়েছেন, এবং মুজফ্ফরাবাদ ও কোটলিতে হামলায় শিশুসহ বেসামরিক লোকজন হতাহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ভিম্বর গলি অঞ্চলে পাকিস্তান কামান হামলা চালিয়েছে, এতে তিন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান বলছে, তারা ভারতীয় দুটি যুদ্ধবিমান এবং একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
এ পরিস্থিতিতে, পাকিস্তান ইসলামাবাদ এবং পাঞ্জাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে, এবং সীমান্ত এলাকায় বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। ভারতের অমৃতসর, শ্রীনগর, লেহসহ বিভিন্ন শহরের বিমানও বাতিল করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের আগ্রাসনের অভিযোগ জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী `উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া` জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানে দুই দেশের সাথেই সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছি।” হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এটা লজ্জাজনক এবং বিপজ্জনক। আশা করি খুব দ্রুত এই সংঘাতের অবসান হবে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সামরিক উত্তেজনা একদিকে যেমন রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য দুই দেশের পক্ষ থেকেই নেওয়া হচ্ছে, তেমনি এটি যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে পুরো পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে চলে যেতে পারে।