প্রকাশিত: : মে ৪, ২০২৫, ০৩:৪৬ পিএম
মিয়ানমারের সামরিক সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দ্বারা প্রস্তাবিত স্বাধীন রোহিঙ্গা রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। রোহিঙ্গা জনগণের জন্য রাখাইন রাজ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এই প্রস্তাব গত রোববার ঢাকায় চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে উত্থাপিত হয়। তবে চীন এখনও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা "অমানবিক অবস্থায়" বাস করছেন এবং শুধুমাত্র মানবিক সহায়তা দিয়ে এই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। জামায়াতের প্রতিনিধি দলের প্রধান সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, এই সংকট সমাধানে প্রয়োজন একটি রাজনৈতিক সমাধান।
মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার আগে তাদের যাচাই ও নিবন্ধন করা হবে এবং ফিরে আসা শরণার্থীদের জন্য আবাসন সুবিধা নির্মাণের কাজও চলছে। তারা আরও দাবি করেছে, জামায়াতের প্রস্তাবটি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের একটি কৌশল এবং এটি মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ।
এছাড়া, গত বছর আর্জেন্টিনার একটি আদালত ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইংসহ আরও ২৩ জন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটরও মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করেছেন।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন, বিদেশি রাজনীতিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, তাদের উচিত নিজেদের স্বার্থে এমন কিছু না করা যা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানো উচিত।
এদিকে, ভারতের মিজোরাম রাজ্যের একজন সংসদ সদস্য চীনের বিরোধী গোষ্ঠী ‘চিনল্যান্ড কাউন্সিল’-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সীমান্ত অঞ্চলের জনগণের কাছে আহ্বান জানান, যাতে তারা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে, কারণ তাদের মধ্যে নৃগোষ্ঠীগত মিল রয়েছে। ভারতের মণিপুরের সংসদ সদস্যও মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের কাবাও উপত্যকা ভারতের দখলে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন।
এ সব প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের নেতারা বিদেশি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্কতাও জারি করেছেন।
