প্রকাশিত: : মে ২৮, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ওপর ভ্যাট দ্বিগুণ করে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মূলত টেবিলওয়্যার ও রান্নাঘরের বিভিন্ন সামগ্রীতে এ ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব আনা হচ্ছে পরিবেশদূষণ রোধে এবং টেকসই পণ্যের দিকে ঝোঁক বাড়াতে।
অন্যদিকে, পরিবেশবান্ধব বিকল্প—যেমন পোড়া মাটির প্লেট, গাছের পাতা কিংবা পচনশীল উপাদানে তৈরি পণ্যের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট সম্পূর্ণ মওকুফের চিন্তা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই সুবিধা মূলত পরিবেশবান্ধব শিল্পোদ্যোগ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, সুপারি, শাল, সিয়ালি ও পলাশ পাতার মতো কাঁচামাল উৎপাদনে ব্যবহৃত উপাদানের জন্য নির্দিষ্ট হারমোনাইজড সিস্টেম (এইচএস) কোড চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে। বর্তমানে নির্ধারিত কোড না থাকায় এসব পণ্যে প্লাস্টিক পণ্যের সঙ্গে একসাথে শুল্ক আরোপ করা হয়, যার হার ২৫ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। নতুন কোড চালু হলে তা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে।
তবে এ প্রস্তাব ঘিরে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্লাস্টিক শিল্প সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ভ্যাট বাড়ানোর ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, যা সাধারণ ক্রেতা, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ ফেলবে। তার মতে, প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজার, ছয় হাজার উদ্যোক্তা এবং ১৫ লাখ কর্মজীবীর এই খাত ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, প্লাস্টিক খাতের কর ছাড়ের সময় শেষ। এখন সময় হয়েছে টেকসই পণ্য ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করার।
এই বাজেট প্রস্তাবে আরও একটি পরিবর্তন আসতে পারে রেফ্রিজারেটর ও এসি পণ্যে। বর্তমানে এসব পণ্যে স্থানীয় পর্যায়ে সাড়ে সাত শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হলেও তা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার ভাবনা রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই হার ছিল ৫ শতাংশ, যা এ বছরই প্রথম বাড়ানো হয়েছে।