প্রকাশিত: : জুন ৬, ২০২৫, ০২:১২ এএম
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ-উল আজহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির আশায় পশু কোরবানীর লক্ষ্যে শেষ সময়ের আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছে রাজধানীবাসীকে। পশু কোরবানীর নানা উপকরণের মাঝে খাটিয়া বা খাইট্টা অন্যতম।
ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসব খাইট্টা নিয়ে এসেছেন অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বড় ছোট বিভিন্ন ধরনের খাইট্টা বিক্রিও করছেন তারা।
বড় ছোট বিভিন্ন ধরনের খাইট্টা বিক্রি করছেন এসকল ব্যবসায়ীরা। ধরণভেদে ১৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব খাইট্টা।
তবে, কোরবানির অন্যতম এ অনুষঙ্গের চাহিদা থাকলেও বাজারে কমেছে ক্রেতা। কোরবানি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঠের গুঁড়ির ব্যাপক চাহিদা বাড়লেও চড়া দাম চাচ্ছেন তাঁরা। একটি পাটিকে চারটি কাঠের গুঁড়ি করা হয়। একটি পাটি কিনতে খরচ হয় ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা। এছাড়া স মিল খরচ, শ্রমিক খরচ মিলে প্রতি গুঁড়ির দাম পড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। কিন্তু বাজারে একটি গুঁড়ির দাম চাওয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা।
সাধারণত বছরের অন্য সময়ে খাইট্টার ব্যবহার না থাকলেও কোরবানিতে গরুর মাংস ও হাড় কাটতে প্রয়োজন হয়। বছরের অন্য সময়ে এসব খাইট্টার প্রয়োজন না থাকায় সেভাবে সংরক্ষণ করা হয় না। ফলে প্রতি বছর নতুন করে কিনতে হয়। রাজধানীবাসীর জন্য এটি কোরবানির অন্যতম অনুষঙ্গ। খাইট্টা মূলত তেতুল, বেল গাছের গুঁটি দিয়ে বানানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি কদর থাকে তেঁতুল গাছের খাইট্টার।