প্রকাশিত: : মে ১৫, ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
দেশের প্রায় ৩২ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মোট ৬৫ হাজার ৫৬৬টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭ হাজার ৮২৬টি শিক্ষক পদ খালি, যার মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদই প্রায় ৩২ হাজার। এই সংকটের ফলে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমছে—২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে শিক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৮ লাখ।
এই শিক্ষক সংকট দূর করতে সরকার চলতি বছরেই প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিচ্ছে, যা আগস্ট মাসে বাস্তবায়িত হতে পারে। এ নিয়োগে এবারই প্রথম নারী ও পোষ্য কোটা বাদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। পূর্বের নিয়মে নারী কোটা ছিল ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, এবং পুরুষ কোটা ২০ শতাংশ। নতুন প্রস্তাবনায় এসব কোটা বাতিল করে কেবলমাত্র উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ৭ শতাংশ কোটা রাখা হচ্ছে, যা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে ৮ হাজার ৪৩টি সহকারী শিক্ষক পদের বিপরীতে অবসরজনিত কারণে এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১২ হাজারে পৌঁছেছে। এছাড়াও সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার ১৬৬ শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ইতোমধ্যে স্কুলগুলো থেকে শূন্যপদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। পাশাপাশি নারী ও পোষ্য কোটা বাতিল সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত নেয়া হবে।
এদিকে শিক্ষার মান পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সরকার একটি নতুন অধিদপ্তর গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার নাম হতে পারে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন অধিদপ্তর’। এটি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন ইউনিটকে রূপান্তর করে গঠিত হবে।