প্রকাশিত: : মে ১৩, ২০২৫, ০৫:১৬ পিএম
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো ‘ম্যাস কিলিং’ বা ‘ম্যাসাকার’ হিসেবে বিবেচিত হলেও তা ‘জেনোসাইড’ বা গণহত্যার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। মঙ্গলবার (১৩ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী এ ধরনের সহিংসতা মানবতাবিরোধী অপরাধ হলেও তা গণহত্যা নয়।
তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অপরাধগুলো নিয়ে গণহত্যার কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। এগুলো ‘ক্রাইমস এগেইনস্ট হিউম্যানিটি’-যা মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত মারাত্মক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে তা জেনোসাইড নয়।”
আওয়ামী লীগ দল হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হবে কিনা-এ প্রশ্নে তাজুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট তদন্ত সংস্থা প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, “গতরাতে সংশোধিত আইন কার্যকর হয়েছে। এখন তদন্তকারী সংস্থা যদি মনে করে দলটি মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিল, তবে তদন্ত শুরু হবে। আইন অনুযায়ী তারই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই বক্তব্য আলোচনার কেন্দ্রে আসার মূল কারণ-সম্প্রতি দেশে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত, আন্তর্জাতিক মহলে একে জেনোসাইড হিসেবে দেখার দাবি ওঠার প্রেক্ষাপটে প্রসিকিউটরের এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ।
