প্রকাশিত: : মে ৯, ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
প্রাণঘাতী রোগ ও দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে মার্কিন বৈদেশিক তহবিল সংকোচনের সিদ্ধান্তের পরই এসব কথা বলেন মাইক্রোসফটের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
আগামী ২০ বছরের মধ্যে ২০০ বিলিয়ন অর্থাৎ ২০ হাজার কোটি ডলার দান করার ঘোষণা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। এই অর্থ বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পোলিও ও ম্যালেরিয়া নির্মূল, মা ও শিশুমৃত্যু হ্রাস এবং দারিদ্র্য কমানোর মতো উদ্যোগে ব্যবহার করা হবে। বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় বিশ্বের শীর্ষ ধনী এলন মাস্কের সমালোচনাও করেছেন বিল গেটস।
৬৯ বছর বয়সী এই ধনকুবের জানিয়েছেন, তিনি তার সম্পদের প্রায় পুরোটাই দ্রুত দান করতে চান। এছাড়া পূর্বঘোষিত সময়ের চেয়ে অনেক আগে ২০৪৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হবে গেটস ফাউন্ডেশন। এ বিষয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে তিনি বলেন, মানুষকে সাহায্যের জন্য যে সম্পদ ব্যবহার করা যেতে পারে, তা ধরে রাখার কোনো মানে নেই।
প্রাণঘাতী রোগ ও দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে মার্কিন বৈদেশিক তহবিল সংকোচনের সিদ্ধান্তের পরই এসব কথা বলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এমনিতেই বেশ কিছুদিন ধরে সরকারের তহবিল বাতিল বা সংকোচন নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর কারণে পৃথিবীর দরিদ্রতম শিশুদের মৃত্যুর বন্দোবস্ত হওয়ার দৃশ্য নিশ্চয়ই সুখকর কিছু নয়।
মার্কিন সরকারের তহবিলে বাতিল, সংকোচন বা পরিবর্তনের বিষয়গুলো দেখভাল করছেন এলন মাস্ক। মূলত তার পরামর্শেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাস্কের পরামর্শেই সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির ৮০ শতাংশ কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাতিল বা সংকুচিত হতে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের হিসাবে দেখা গেছে, সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে।
এক সময় বিল গেটস এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান এলন মাস্ক দরিদ্রদের সহায়তার বিষয়ে একমত ছিলেন। তবে সম্প্রতি তারা একাধিকবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। এদিকেম বিল গেটসের সাক্ষাৎকার প্রকাশ হতেই চটেছেন এলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক ভিডিও পোস্টে বিল গেটসকে `বড় মাপের মিথ্যাবাদী` বলে অভিহিত করেছেন এলন মাস্ক। তবে এ বিষয়ে মাস্কের মুখপাত্রদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসকে সঙ্গে নিয়ে ২০০০ সালে গেটস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন বিল গেটস। পরে এতে যুক্ত হন বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট। এ পর্যন্ত ফাউন্ডেশনটি প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করেছে। যার মাধ্যমে গ্যাভি ও গ্লোবাল ফান্ডের মতো উদ্যোগে কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে। এই দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে নিজের ৯৯ শতাংশ সম্পদ বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিল গেটস।