প্রকাশিত: : মে ১২, ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
“মা*রণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) কাছে। পুলিশের কাছে থাকা মা*রণাস্ত্র জমা দেবে” জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
প্রতীকী ছবি
পুলিশের হাতে চায়নিজ রাইফেল, সাব মেশিনগান, ৯ এমএম পিস্তলের মতো ‘মারণাস্ত্র’ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) কাছে। পুলিশের কাছে থাকা মারণাস্ত্র জমা দেবে।
দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পুলিশের হাতে কোন কোন ধরনের অস্ত্র রাখা যাবে, কীভাবে কাজ করবে, সেসব বিষয় ঠিক করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। পাশাপাশি সভায় র্যাব পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে প্রধান করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি পুলিশের হাতে কোন কোন ধরনের অস্ত্র রাখা যাবে, কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়গুলো ঠিক করবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সভায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ঈদের আগে পরিশোধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের যে বৈধ বেতন, তা সব মালিককে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। তবে শ্রমিকদের অবৈধ কোনো দাবি মেনে নেওয়া হবে না। তারা যদি কোথাও অবৈধভাবে কোনো আন্দোলন করতে চায়, সেটা বরদাশত করা হবে না।’
উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন কোরবানির হাটে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য রাজধানীর প্রতিটি হাটে হাট কর্তৃপক্ষকে ১০০ জন করে আনসার নিয়োগ করতে হবে। ঈদে হাইওয়ে পুলিশ সড়কে কাজ করবে। যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কোরবানির হাটে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য রাজধানীর প্রতিটি হাটে হাট কর্তৃপক্ষকে ১০০ জন করে আনসার নিয়োগ করতে করতে হবে। ঈদে হাইওয়ে পুলিশ সড়কে কাজ করবে। যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।