প্রকাশিত: : ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনে গোপন কারখানায় বাংলা মদ উৎপাদনের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০ লিটার মদ জব্দ করেছে প্রক্টরিয়াল টিম। অভিযানে সুমন চাকমা ও তার সহচরীকে আটক করা হয়, যাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইন, বন্যপ্রাণী হত্যা ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে গোপনে মদ উৎপাদনের অভিযোগে একটি কারখানা ধ্বংস ও দুইজনকে আটকের দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনে `গ্রীনহাউস` এলাকার ব্রিজের উত্তর পাশের একটি ঘরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০ লিটার বাংলা মদ জব্দ করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন। অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা টিম এবং বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও অংশ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, বখতিয়ার ফকির নামে এক লোকের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিজ নেওয়া জমিতে চাষের কাজ করে আসছিলেন সুমন চাকমা। তার ভাষ্যমতে, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি সেখানে কাজ করেন; একটি ছোট্ট বেড়ার ঘরে তিনি থাকেন। সামনে ছোট ছোট দুটি গোয়াল ঘর। গোয়াল ঘরের ঠিক পেছনেই মূল ঘর। শুরুতেই প্রার্থনা কক্ষ, ডানে বেডরুম। পেছনে একটা লম্বা বারান্দা। বারান্দা জুড়ে মদ বানানোর কারখানা। দীর্ঘদিন ধরে সে বাংলা মদ তৈরি করে আসছিল। অভিযানে সুমন চাকমা ও তার সহচরীকে আটক করা হয়।
সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন বলেন, `বায়োলজিক্যাল সাইন্সের পুকুরপাড়ে নিয়মিত বহিরাগতদের উপস্থিতি দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। কয়েক দফা রেকি করার পর নিশ্চিত হয়ে আমরা অভিযান চালাই। সুমন চাকমা ও তার সঙ্গে থাকা নারীকে আটক করা হয়েছে। তারা স্বামী-স্ত্রী নন বলে স্বীকার করেছেন।`
তিনি আরও জানান, অভিযানে সদ্য প্রস্তুত ৩০ লিটার মদের একটি ড্রাম, পাঁচ লিটারের ডেক্সি, বোতলভর্তি মদসহ মদ তৈরির উপকরণ, বিক্রির হিসাব-নিকাশের নোটবুক ও বন্যপ্রাণী শিকারের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রক্টরিয়াল টিম জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার জঙ্গল থেকে বন্য শুকর, হরিণ ও অন্যান্য প্রাণী শিকার করে মাংস বিক্রি করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তার নিয়মিত ক্রেতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের একটি টিম এসে আলামত সংগ্রহ করে।
মাদকদ্রব্য আইন, বন্যপ্রাণী হত্যা ও অসামাজিক কার্যকলাপে অভিযোগে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে চালান দেওয়া হয় বলে জানান সহকারী প্রক্টর।